(প্রিয় কবি সুমনা আরজুকে নিবেদন)


অরিন্দম :
সুনন্দিতা আমি আর কবিতা লিখবো না
লিখবো না আর কাউকে নিয়েই !
চলে যাব অনেক দূরে;
লোকালয় থেকে অনেক দূরে,
যাবো তোমার কাছ থেকেও দূরে অনেক দূরে!
যদি কোনদিন বৃষ্টি হয়ে আসো
তখন না হয় একটু ভিজিয়ে দিয়ে যেও।


সুনন্দিতা :
অরিন্দম কোথায় আর যাবে তুমি
কেনইবা লোকালয় থেকে অনেক দূরে চলেই যাবে?
বৃষ্টির কথা বলছো
আমি বৃষ্টি হয়ে রোজই তো তোমাকেই ভেজাই...।
কেন চলে যাবে
তোমাকে যেতে দিলে তো!
আমরা ছিলাম, আমরা আছি
যতদিন বেঁচে আছি।


অরিন্দম:
জীবনকে মাঝেমাঝে কুরে খায় অজানা কষ্ট এবং দুঃখ
মনে হয় পরাজিত হচ্ছি আর ক্রমশ গিয়ে খায় অমাবস্যার কাল অন্ধকার;
সত্যিই বলছি সুনন্দিতা
আমি আর লিখবো না কোন কবিতা!
লিখে লাভ নেই শুধু শুধু একটা দূরত্ব তৈরি করি তোমাদের সাথে।


সুনন্দিতা:
তুমি কি আজও পাগলামি করবে অরিন্দম? একটুও শান্তিতে থাকতে কখনোই দিবেনা!
তোমাকে নিয়ে আমার ভয় হয়;
বলতে পার মস্ত বড়ো ভয়
আতঙ্কিত  হয়ে যাই
আর ভয় করে সত্যিই অরিন্দম!
এভাবে আর যাই হোক না কেন
জীবনকে সুখি করতে পারবেনা কখনোই।


অরিন্দম:
তুমি রাগ করলে সুনন্দিতা!
যদিও তুমি রেগে গেলে আমার কিন্তু ভালোই লাগে!
তোমার রেগে যাওয়া মুখটা সত্যিই অসাধারণ;
যেন অরিন্দমের কাব্যের নীলাঞ্জনা!
একটুও বাড়িয়ে বলছিনা সুনন্দিতা।


সুনন্দিতা:
ধুর যাও তুমি অরিন্দম;
তোমার যেদিক চোখ যায়;
তাই যাও তুমি!
তোমার কাণ্ডকারখানা দেখলে সত্যিই ভীষণ রাগ হয়!
রাতদিন খেটে মরবো আমি আর উনি আছেন কবিতা নিয়েই!
ভালো তুমি কোনদিনই হবেনা অরিন্দম;
একটা পচা তুমি
দুষ্টু কোথাকার।


অসমাপ্ত



..................
সম্পাদনা
সাপটানা সড়ক, বাহাদুর মোড়
লালমনিরহাট।
২৮.০৬.২০২০