সুনন্দিতা:
অরিন্দম তুমি কি শুধুই আমার উপর নির্ভর করে থাকবে?
সব কাজ এনে আমার উপরে চাপিয়ে দিয়ে কবিতা আর ছবি আঁকা নিয়ে ব্যস্ত ;
নিজের প্রতি আরো দায়িত্ববান হও।।


অরিন্দম:
সুনন্দিতা তুমি আছো বলেই আজও আমি স্বপ্ন দেখি গান গাই দিনবদলের প্রান্তিক মানুষের।
সব কিছু শুধু আমার আমার করে কেন দেখো বলতে পারো?


সুনন্দিতা:
অরিন্দম এটাই তোমার দোষ; আমি কিছু বললেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠো।
আমি কি অন্যকারো কথা বলেছি ; শুধু তোমাকে নিয়ে আর কারু নয়;
তুমি আমি এখানে অন্যকারো কথা নয়।।
বুঝলে কবি;
আবার শিল্প তুমি!
তুমি শুধু আমার নও অরিন্দম আমি জানি। তুমি সবাইকে নিয়ে ভাব এবং সবার কথা চিন্তা করেই লিখো আর আঁকো।


অরিন্দম:
সুনন্দিতা আমাকে নিয়ে তোমার ভয় আমি জানি;
কি করবো বলো!
মানুষ বলেই স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন নিয়ে থাকতে পছন্দ করি! তাতেই যদি মস্তবড়ো দোষ করে থাকি তবে সেই দোষের ভাগ সানন্দে গ্রহণ করতে চাই। জীবনকে উপভোগে তুমি আছো বলেই স্বপ্ন আমাকে স্বপ্ন দেখায় সুনন্দিতা।


সুনন্দিতা:
এই হল তোমাদের পুরুষদের দোষ;
শুধু নিজেরটা ভালো বুঝ! অন্যের ভালো তোমরা দেখতে পারোনা বা নারীদের নারীই ভাব!
সারাদিনমান খেটে মরি আর আমার কবি প্রেমিক কি কয়?
আমি দেখে
এই সুনন্দিতা তোমার সংসার করছি অন্যনারী হলে কবেই চলে যেত।
বুঝলে-
-কবি অরিন্দম।।


অরিন্দম:
সুনন্দিতা রেগে গেলে মনে হচ্ছে; সত্যিই রেগে গেলে সুনন্দিতা!
অবস্য তোমার রেগে যাওয়া চেহারাটা বড্ডবেশি প্রিয়;
একটা আবরণ পড়ে তোমার মুখশ্রী পানে
একটা ছায়া অনুভব করি আমি!
যে ছায়ায় খুঁজে পাই অমিতের লাবন্যকে
আমার কবিতার নায়িকা চিরলাবন্যকে! তখন
ভালোবাসা এসে ভর করে সমস্ত হৃদয়ের কোনে হয়ে তোমার কবি সুনন্দিতা।
রাগ করোনা লক্ষ্মীটি প্লিজ, প্লিজ।



অসমাও
.........
১৪.০৭.২০২০
সাপটানা সড়ক,
বাহাদুর মোড়
লালমনিরহাট-৫৫০০