নীলাঞ্জনা:
অরিন্দম কোথায় তুমি! ব্যস্ত
বুঝি অনেক ফোনটাও কেন
আজ ধরোনি! কি এমন ব্যস্ত
তুমি আমার ফোন ধরার
সময় নেই? এভাবে কেমন
করে চলবে! তুমিত এমন
উদাসী ছিলেনা তবে।


অরিন্দম:
নীলাঞ্জনা মনটা ভালো নেই
কিছু ভালো লাগছিনা একা
বসে ছিলাম বলতে পারো
লুকিয়ে ছিলাম! কেমন জানি
হয়ে যাচ্ছে সবকিছু, আমার
বুঝি একা থাকার অধিকার
নেই? রাগ করেছো
নীলাঞ্জনা? ফোনটাই ধরিনি
এই যা তবে।


নীলাঞ্জনা:
অরিন্দম পাগলামি করো
কেন তোমাকে নিয়ে আমার
চিন্তা হবেনা এটা কি ভাবলে!
চিন্তা হচ্ছিন তুমিতো আমার
ফোন কোনদিন না ধরে
থাকোনি তাই ভীষণ চিন্তা
হচ্ছিল; তুমিতো কবি
অরিন্দম তাহলে তুমিই যদি
বলো কোনকিছু ঠিক ভাবে
চলছেনা তবে আমরা যারা
সাধারণ মানুষ অগণ্য তারা
কি করবে ভেবেছো কখোন।


অরিন্দম:
হা হা হা নীলাঞ্জনা সত্যিই
হাসালে আমায় তুমি নাকি
সাধারণ মানুষ, হা হা হা! সে
যাক এবার বলোতো ফোন
কেন করেছিলে? আর
আমাকে নিয়ে চিন্তা করো
কেন! আমি ভালো আছি এই
দেখো ভালোইতো আছি, এই
হাসছি! তবে চিন্তা একটু
আমার হয় কেন জানি
আমরা কত সহজে বদলে
যাই।


নীলাঞ্জনা:
তুমি হাসছো অরিন্দম!
আমাকে দেখে তোমার
তাহলে হাসি পায়, বাহ্! কি
দারুণ তুমি; কবিদের রঙ যে
আরও কত দেখবো, আমি
উনার জন্য চিন্তায় মরি আর
উনি দাঁত বেড় করে হাসছেন,
কি দারুণ, অরিন্দম
মাঝেমাঝে তোমায় মনে হয়
আমি চিন্তে পারিনা! সত্যিই
বলছি।


অরিন্দম:
নীলাঞ্জনা আরে রেগে কেন
যাচ্ছো আমিতো একটু মজা
করলাম, আমার বুঝি
হাসতেও নেই! রাগ করবেনা
আমি চিন্তা করছি অনেক
কিছু নিয়ে, আমরা যে বদলে
যাচ্ছি কেমন জানি সবাই
বদলে যাচ্ছে শুধু নিজেদের
নিয়ে ভাবছে আর আগের
গোছানোর ধান্দা; এভাবে
দেশ চলতে পারেনা
নীলাঞ্জনা।


নীলাঞ্জনা:
আরে কবি সেই জন্যতো
তোমরা আছো আমি এবং
আমরা আছি যারা এই মানুষ
গুলোকে বদলে দিতে চাই,
বদলাতে চাই দেশটাকে,
একদম চিন্তা করবেনা ভয়ও
পাবেনা বলছি; বদলাতে যে
হবে সেই জন্য প্রকৃত আলো
জ্বালাতে হবে আলোর উৎস
খুঁজতে হবে তবেইনা বদলে
যাবে সব।


অরিন্দম:
হুম একদম ঠিক বলেছো
নীলাঞ্জনা, সেই জন্য
তোমাকে এতো ভালোবাসি
কি চমৎকার ভাবে আমায়
চিন্তা মুক্ত করলে, আসলেই
প্রকৃত আলো জ্বালাতে হবে
অসাধারণ বলেছো; মুগ্ধ হই
কি আমি এমনিই তোমার
জন্য!
আমাদের আলো খুঁজে
আনতেই হবে জ্বালাতে সেই
আলো তবে ঘুচাতে পারবো
সমস্ত অন্ধকার নীলাঞ্জনা।