বানের জলে যদি ভেসেই যাবে
কুমারীর প্রিয়স্বজন আপনজন!
তবে সুপূর্ণিমার প্লাবনে অবগাহন করে
লাভ কি নীলাঞ্জনা?
জ্যোৎস্নার প্লাবনে মন রাঙিয়ে
আর যাই হোক বসন্ত অনুভবে
কোন কাজ নেই।


যদি স্বপ্ন বিক্রি করে প্রগাঢ় অন্ধকারে
তবে মুখে আর বলো না তোমরা
প্রগতির চাকা কেমন করে ঘুরবে
নীলাঞ্জনা?
দিনের আলোয় সেইসব মুখ
যতই উজ্জ্বল আলোক ছড়াক
তাকে তুমি প্রগতিশীল বলবে
নাকি প্রগতিশীল বলে মেনে নেবে
বলতে পার?


অনন্ত পথের শেষে বকুল ফুলের মালা
না বিছিয়ে রেখে কাঁটা বিয়িয়ে রাখে;
যদি অপেক্ষায় বসে
প্রান্তিক কোন কৃষক
সেই কাঁটায় বিধে আঘাত পেয়ে
মাঠে না ফিলায় ফসল
পড়ে থাকে মাঠ ফসলি জমি
তাহলে দোষ দেবে কী
কৃষকের ভাগ্যকে?
নাকি বলবে ভাগ্যবিপর্যয় হল সময়ের!


যদি আকাশের দিকে তাকিয়ে
অভিশাপ দেয় বেদনাহত কৃষাণী
বলে ওঠে হে ভাগ্যবিধাতা
সব দোষ শুধু ভাগ্যের
আর ভাগ্যদেবীর;
তখন তুমি কী বলবে
ভেবে রেখে দিবে নিশ্চয়ই নীলাঞ্জনা?