আমার জামাই মাছ ধরে,
আলগা বাড়ির বউদির ঘাটে।
গেল বিকেলে আনল কৈ,
ভাজি করে খেলাম দুই।


বড় সতিন স্বাদ নিতে পাশে হাটে,
জিহ্বের জল ডুবে গিলে ভাজির ঘ্রাণে।
বলে, আজ বিকেলে মাছ আনিলে
ছোট আমায় দিবায় নি।
আমি কেটে ধুবো, ভাজি করবো,
কাঁচা লঙ্কা সাথে নেবো, খেতে দিবায় নি।


আজ নয় গো কাল, সবে খেলে আসবে আকাল।
দিনেদিনে যাচ্ছো মুটো হয়ে, কাজ করবায় সহেরহে।
তাতো হবে না।


বড় বলে, বলেছিলে তিনদিন আগে,
খাবো দু'জনে আজ বিকেলে সমান ভাগে।
এমন কথা, নাই আগা মাথা, আ-র ভালো লাগেনা।
কেন বারবার কথা দিয়ে কথা রাখো না?


শুনিয়া ছোটের মেজাজ হলো কিটকিটে,
এমন কথা বলার, নিজের মতো খাওয়ার,
সাহস কোথায় পাও, হে।
না পেরে সামলে নিতে, রেগে দ্রুত বেগে তর্জনী তুলে ছোট বলে,
আজ তর একদিন কি আমার একদিন।
বলায় বচন, চলায় চরণ নিমেষে পাল্টালো দু'জন।
হাতাহাতি টানাটানি কিলাকিলি হলো কিছুক্ষণ।
অবশেষে চুলাচুলি..চুলাচুলি... চুলাচুলি....


যে চুলে মজিলো জামাই, সে চুল টানিলো সতিনে,
ছোট শক্তিতে কম, তবুও না ছেড়ে দম চালালো কদম ঘাট পানে।


সেথায় শুনে ফিসফিস কানাঘুষা, বুঝে এলো আসলো সর্বনাশা।
যেন আকাশ ভেঙে পড়ল মাথায়।
ছলছল নয়নে আকাশ পানে চেয়ে হাত থাপড়ায় মধ্য মাথায়।
শুনেছে যখন জামাই নিরুদ্দেশ এখন বউদির সনে।
এবার তিন সতিনের হবে সংসার এক ভবনে।


বড় বলে হাসির ছলে দেখ মজা কেমন লাগে,
নতুন জনে মড়মড় ভাজি খাবে দেখবে চেয়ে।


এবার জামাই যাবে বড়শি বাইতে,
আলগা বাড়ির সতিন ঘাটে।
হু হু, হা হা, কি মজা, কি মজা.......


রচনাকালঃ
২১/৮/২১