তুমি দৃষ্টির আড়াল হলে, লতাকুঞ্জর লোকালয়ে কতটুকু আঁকড়ে ধরে থাকি তিলোত্তমা তোমায় হারানোর ভয়ে, তা যদি একবার অনুধাবন করতে এই ক্ষুদ্র প্রেমিকের বুকপিঞ্জর। তাহলে আমার সমস্ত পার্থিব চাওয়া-পাওয়া গুলো নিঃস্বার্থে রক্তদ্রব্য করে দিতাম তোমার চরণতলে বিসর্জন। তুমি জানো, তোমার অবহেলিত অজানা একেক বিন্দু ক্ষয়ে যাওয়া প্রহর গুলো, আমার নির্জীব নিকশকালো জঞ্জাল,বসবাসের ঘরে জ্যোৎস্নায় প্রাপ্তির তুল্য হয়ে জ্বলে মিটিমিটি। তুমি বিশ্বাস কর, এ-যেন এই জনমের শ্রেষ্ঠ অভিলাষী ব্যাকুল প্রাণের তৃপ্তি সমাপন আমার...! তোমার ভুল দৃষ্টিতে নাহয় একটিবার এই সজীব বসন্তোৎসবে চোখটি রেখ তিলোত্তমা, আমি সেই সময়ের অপেক্ষায় ভিখ পেতে থাকব তোমার। তখন তুমি দেখতে পাবে এই ভ্রান্তি প্রেমিকের বসন্তোৎসব। যখন পৃথিবীতে মানব প্রথম প্রমিক-প্রমিকারা প্রেম শিখেছিল,সেখান থেকে শতশত, সহস্র প্রমিক-প্রমিকা তোমাকে ঘেরে ক্ৰমাগত বসন্ত আয়োজন করে চলেছে তারা, তোমার নামে প্রতিনিয়ত, তুমি আসবে বলে তিলোত্তমা। তবে তুমি ভয় পেওনা , শুনেছি পুরুষ প্রেমিকের আত্ম-চিৎকারে নাকি লাশকাটা ঘরের একেকটি লাশ জেগে উঠে তার গর্জনে... আমি জানি, তুমি ভয় পাবে অথবা বিতৃষ্ণা হবে আমার আহবানে, তাই বলছি আমার আত্মডাক স্বপ্নচারী হয়েই বেঁচে থাকুক এই অ-দীর্ঘ নয়ন পানে আমার । তবুও এতকিছুর পরেও খুঁজে পাই তোমাকে, মেশে আছো আমার বাস্তবিক সকল উজ্জীবিত পার্থিব পৃথিবীতে, হাজারও শত, সহস্র জোনাকির আলোয় আলোকিত হয়ে থাকো নির্জীব নিকশকালো জঞ্জাল,বসবাসের ঘরেই তুমিই।



নয়ন ডাকু-----