হঠাৎ গভীর রাতে বর্ষা এলো তীব্র বেগে,
ভাবলাম শীতল বায়ুর উষ্ণতায় ডুবাব নিজেকে।
আধার রজনীতে মেঘ পল্লবিত বৃস্টি, পড়িল অঝরে, আমি ভাবী এ ধরার, আজ আঠারো এসেছে ফিরে।


কত পক্ষিমালা আশায় বাঁধে বাসা, সবুজ বৃক্ষের ডালে,
ভাঙ্গে নীড় অজানায়, হয়তো ঝড়ে নয়তো জলে।


তবুও থামেনা তারা বার বার বাসা বুনে,
ছোট্ট পাখি শির নত করে  শত ব্যথা, শত যাতনা।নেয় মেনে।


অপেক্ষা করো হে,মরদ !! এ পাখি জানায় মোরে,
আমি সহি অপার যাতনা, দেখনা কি তুমি চেয়ে।


সব বিষাদের হবে অবসান,কালো মেঘ কেটে গেলে
খুঁজতেই  থাক তব প্রিয় মুখ আঁধারের ফাঁকে, ফাঁকে।


দিয়েছিনু সাড়া খেচরের ডাকে, দিশেহারা হয়ে প্রিয়ার তরে,
শশীরে সুধাই রজনী মাঝে ভানুরে ডাকি দিনের ভাগে।


অবশেষে এক গোধুলি বেলা, মিহির মামা করিছে খেলা,
আমিও সেদিন পেলাম ঠাই, আজ ঘুচাব মনের কালা।


দখিনা বাতাস দিলো ডাক, সুমিরে দেখে ঘুরিচে পাক,
ফাঁকা কাশবনে,চিরল মাঠে, মুগদ্ধ চিত্তের ঘন,ঘন  হাঁক।


ঠিক সন্ধ্যালগ্নে শরতের  আবছা আলোর মাঝে
দেখলাম নয়নে নয়নে সেই ভানু মামার সুমিকে।


সে যে, আমার তপ্ত শীতে ঘাসের শিশির
গ্রীষ্মে যে, সে রোদের চাদর ।
তারি মাঝে আলো আঁধার, আর সবুজের মিশ্রন
সুমিকে দেখে আপ্লুত আমি ভালো লেগেছে তাঁর আকিঞ্চন।