প্রিয় আকাশ নীলা🌸
সম্বোধনের জন্য তোমার নামটাই অনেক সুন্দর। কালজয়ী কোনো উপন্যাস বা গল্পের আশ্রিত নায়িকার নাম কুড়িয়ে আনা বড্ড বেমানান। পত্রের যুগ নেই। প্রযুক্তির যুগে পত্র লিখা নিতান্তই সেকেলে ধারণা । পত্র লিখতেও যে প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হয়। তারপরও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পত্র লিখলাম। পত্রের দু'চারটে কথাই যেনো দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া ভালবাসা লুকিয়ে থাকে। what's App, Facebook, IMO, Viber এর নিত্য বার্তার চেয়ে সপ্তাহের একখানা চিঠিতে ফালি ফালি ভালবাসার ঘ্রাণ মিশ্রিত থাকে। এখানে থাকে ভালবাসা পাবার ব্যাকুলতা। কল্পনায় স্থান দেওয়া শত শত অভিমানী গল্পগুলো বড্ড পাগলামি মনে হলেও তার মাঝে রয়েছে পবিত্র ভালবাসার হাতছানি।
নয়নাভিরাম ভালবাসা নিয়ে তাই চিঠি লিখতে ইচ্ছে করে। আধুনিক ছেলে-মেয়েদের কাছে এই ভালবাসা অনেক ব্যাকডেটেড মনে হবে। প্রযুক্তির শত শত বার্তা দিতে হয়তো সময় লাগেনা। ক্ষণিকের আনন্দ পাওয়া যায় বার্তায়।
কিন্তু একটি চিঠির একটি লাইন লিখতে, ভাবতে হয় তোমার চোখ, তোমার লাজুকতা, তোমার হাসি, জীবনানন্দের বনলতার মতো তোমার চুল কিনা, কাজী নজরুলে বিদ্রোহী কবিতার চপল মেয়ের মতো চঞ্চল কিনা কিংবা মহাকবি কবি হোমারের কোনো গল্পের নায়িকার অবয়ব কিনা। সে ভালবাসা যে নেতাই কম নয়।
প্রবাহমান স্রোত যেমন অনন্তকাল ধরে বয়ে চলে নদীর অববাহিকায়, সেকেলে ভালবাসাটাও বহমান স্রোতের মতো।
একরাশ আশা নিয়ে বসে আছি যদি কখনো তোমার চিঠি পাই। তখন রোদ্রের প্রচণ্ড উত্তাপে তোমার চিঠিতে খুঁজবো শীতের উষ্ণতা। সমস্ত দিনের ক্লান্তি আর অপেক্ষমান সময়ের ব্যাকুলতা এক নিমিষেই আমাকে মুগ্ধ করবে।
তারপর সেই চিঠি আমি গোধূলি লগনে ডুবন্ত সূর্যের আলোয় নদীর ধারে বসে বসে পড়বো।
★ পুনশ্চঃ তোমাকে পাবো কিনা জানি না। তবে তোমাকে অবশ্যই পাবো। আমার অপ্রকাশিত কোনো গল্প বা উপন্যাসের চরিত্রে । হাজার বছর বেঁচে থাকবে আমার কবিতার তুলিতে। নিতান্তই আমার ভাবনায়।