অবশেষে আপনাকে এখানে পেলাম,
আপনাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান আমি,ঐ কত দিন থেকে অরণ্যের পথ ধরে হেটে হেটে ক্লান্ত আমি
নিশ্বব্দ পায়ে হেটে চলা খরগোশ,আর হরিণী
নরম ঘাসে পেট ঘেঁষে বসা  ভাগিনী
অচেনা কত মানুষ এবং ছোট ছোট মাটির কুঁড়েঘর
আরো কত কি দেখলাম,
কিন্তু আপনাকে দেখিনি।
অবশেষে এখানে এসে পেলাম।
চারপাশে বিলক্ষণ বাতাবরণ,
নানা প্রকার গাছ,খোলা আকাশ,আচ্ছা বাতাস!
বাহ!মুগ্ধ হলাম।
এখানে এসে অনেকটা পাল্টে গেছেন আপনি।
পুরোপুরি কবি মনে হচ্ছে!পাঞ্জাবি,লম্বাই কেশ,আপনাকে মানিয়েছে বেশ।
আপনার কি মনে পড়ে?
তখন আপনার মাথার চুলগুলি ছিল খুব ন্যুন।
মলিন একটা শার্ট পড়ে মাঝে মাঝে আসতেন আমার ঘরে,কিছুটা গল্প করে,হঠাৎ আমার খাতা আর কলম ধরে কবিতা লিখতেন।
আপনার কবিতা পড়ে আমি অভাক হতাম
লেখাগুলি এত চমৎকার ছিল এত নিপুণ!
আপনার কবিতার প্রেমে পড়ে,আমারও ইচ্ছে হত,
আপনার মতো করে কবিতা লিখার,
কখনো খাতা কলম নিয়া বসতাম,এবং দু-একটা কবিতা লিখার চেষ্টাও করতাম।
খুব মনে পড়ে, জীর্ণ শীর্ণ  হয়ে
কখনো পড়ে থাকতেন,দিঘির পাড়ে,
কাদাটে মুখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন কখনো।
আপনার চোখে অদ্ভুত কিছু ভেসে ওঠতো,
চোখে ভেসে ওঠা অদ্ভুত কিছু তথ্য এখনো আপনার চোখে ভাসে,
আর নিয়মিত আকাশ দেখার চর্চা এখনো ছাড়েননি?