গানের তালে মাথা দুলে
সন্ধ্যায় পাগল কোথায় চলে?
গাঁয়ের স্তব্ধ পথে হেটে হেটে
পথ কাটে
মুখে আসে যা তাই বলে।
মনে মনে হিসেব কষে।
কখনো আবার মৃদু মৃদু হাসে।
পথের ধুলি গায়ে মাখে
সঙ্গে একটি লাটি রাখে।
স্বজুড়ে মাথা নেড়ে বলে
আমি পাগল মরে গেলে
দু:খ হবে কার তাতে?
বাঙালী নাকি মাছে ভাতে?
আজ বড্ড ইচ্ছে হচ্ছে মাছ খেতে রাতে।
মাঝে মাঝে ঐ দূর আকাশে
নিলিমায় বলে হেসে হেসে
থাকিস তুই পাগল হয়ে
কখনো বা কাঁকতাড়ুয়া বেসে।
তুই যে এক ভবঘুরে!
আয়না চলে আমার তরে!
রাখবো তরে যতন করে।
মনটাতো চায় আমার যেতে উড়ে।
নিলিমার ওই শ্বব্দ যেন আমার মন জুড়ে।
দেহ যেন আমার পৃথিবীর বুকে
মাঠিতে লুটে আছে পড়ে।
প্রাণ পাখি যে মোর নিলিমায় নিল কেড়ে।
এই জগতে সবে আমায় পাগল বলে
ও মা ও বাবা আমায় ছেড়ে
কোথায় তোমরা চলে গেলে?
আমি এখন দু:খ মনে ঘুরে বেড়াই
রাস্তা ঘাটে ক্ষেতে বণে।
কেহ বোঝে না মোর মনে ব্যাথা
শীত কুয়াশায় শরীর ভেজায়
রাত কেটে যায় লোকের
বাড়ির বারান্দায়।
কখনো বা গাছে রেখে মাথা
কখনো বা শুয়ে ক্ষেতে
সময় কাটে নির্্ঘুম রাতে।
ঠান্ডা রাতে হাড়কাপুনি শীতে
গাছের লতা পাতাই হয় মোর গায়ের কাথা।
ঈদের দিনে সবের বাবা-মা
দেয় কিনে নতুন জামা।
আমার খোঁজ নিবে কারা
আমি যে এক দিশে হারা।
সারাদিন ধুলি মাখা গায়ে
গুটি শুটি পায়ে
হেটে চলি ভবঘুরে হয়ে
ঘুরে ঘুরে পাগল বেসে
ভাবি আমি স্বাধীন।
এভাবেই কাটে সময় আমার
সারা রাত দিন।