পৃথিবীর সমস্ত আলো ডোবি ডোবি
আঁধার ঘনিয়ে এলো; নির্বাক-নিশ্চুপ
চারিধার; শিকর-চিন্নমূল ও নাভি
ছিঁড়ে বিশালাক্ষ্মী ঐ আকাশ ঠায় চুপ
করে ঝেঁপে পড়ে ফর্সা পৃথিবীর উপর।
তারপর..?



তারপর,মনে হয় লক্ষকোটি ঐ নক্ষত্রেরা
আর দেখা দেবেনা বলে, অন্তরীক্ষের দ্বার
বন্ধ করে এক সুখ-মন্ডিত নগরে পাহারা
দিচ্ছে; কখন আমি আসবো?সে দেউলে,আর
আর?



অমনি পৃথিবীর সবাইকে কেমন যেন
অনেক অনেক দিনের অচেনা বলে মনে
হচ্ছে; আমি তাদের কেউ নই, বুঝি কোন
সন্ন্যাসী পথিক অন্ধ পৃথ্বীর এক কোনে।
সেখানেই!



যেখানে ঝিঁঝিঁর শব্দ নেই, মানুষের কথার
শব্দ নেই । সে এক সমুদ্দুর দ্বীপে আমি
আর চারপাশের সবাই নির্বোধ-চুপ, বারবার
আমি বলতে গিয়েও যেন আচমকা থামি !
থামি-



এই মহমায়া পৃথিবীর মায়ায়, আপনজন
আর বেঁচে থাকার আকুল আহ্লাদে
যেখানে ছিলো সুদর্শনা -মোর প্রিয়জন,
যার সকরুন ললাটে ছিলো অঢেল স্বাদে
পরিপূর্ণতার ঢের!



ঢের আগেই আমি বুঝতে পেরেছি!
মায়া বন্ধনের এই পৃথিবী চায় নাকো
আমায়; তাই আজ আমিও বলেছি
পৃথিবী তুমি যেভাবে ছিলে,সেভাবেই থাকো
-এই আমি,
চলে যাচ্ছি -মনে রেখ হে বসুন্ধরা



''পৃথিবীর তরে এই মানবজাত নয়
    ছিন্ন নাহি তোমার মানব ছারা
      মানবের তরেই তুমি, হায়
মানবের তরেই তোমার আসা আর ঝরা''



বড় তুমি নয়, তোমার থেকেও সব
       বড় আমি -অনেক সুন্দর
  তোমাতে ঠাঁই পায়নি'কো মানব,
কতনা প্রাণ গিলেছে তোমার অন্তর?



কোনো এক
মুমুর্ষূ রোগীকে
নিয়ে লেখা,
_______
২৯/০৬/১৭
কচুয়া,চাঁদপুর