🤩মায়ের নিকট একটা খোলা চিঠি🤩


আম্মু...আম্মু... এই আম্মু....


জানো,  আজকের দিনটা পৃথিবী তোমাকে উৎসর্গ করছে।
পৃথিবী আজ তোমাকে নিয়ে বড্ড নাচা নাচি করবে।
আমিও আর সবার মতো মা মা মা করে গলা ফাটাবো।
তবে বেশিক্ষনের জন্য নয়,
হয়তোবা আজ সন্ধাবেলাই তোমার সাথে কিছু একটা নিয়ে ঝগড়া বাধাঁবো।
কথা কাটাকাটি করবো, চিল্লাবো,
তোমার প্রেসার উঠবে, ঘুমাতে পারবে না সারারাত।
অথচ একটু পরেই এসে জিঙ্গেস করবে-- ভাত খাবি না.?


মাগো তোমরা এমন কেন.?
কেন তোমরা অবুঝের মতো আগলে রাখো তোমার সন্তানদের কে.?
কেন সন্তানের শতো ভুলেও তোমাদের কন্ঠে মমতার পরশ ছড়িয়ে থাকে.?
কেন তুমি আমাদের মতো রাগ করে থাকতে পারো না.?
জানি তোমার কাছে উওর একটাই।
বলবে আমার মতো মা হলে বুঝতি!


মা কতোটুকু রক্ত দিয়ে এ শরিরে প্রাণ এনেছো.?
কতো ঘাম ঝরিয়েছো শরিরটাকে মানুষ বানাতে.?
কখন ও কখন ও নাকি না খেয়ে ছিলে আমার জন্য.?
কতোগুলো রাত তোমার বিনিদ্র কেটেছে.?
কতোদিন তোমার ওই দুচোখ লাল করেছি.?
প্রশ্ন গুলো বৃথাই করা হবে কারন তুমি (মা)।


জানো মা, ওই সাগরের নিচে কিলবিল করে ভয়ংকর আটপেয়ে অক্টোপাস, তারও মমতার রূপ আছে।
সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে মা অক্টোপাস দিন-রাত জেগে থাকে,
না খেয়ে। ধিরে ধিরে একদিন সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
ছোটবেলায় ডিমে তাঁপ দিতে বসে থাকা  মুরগিটা
অথবা বাচ্চাঁ নিয়ে হেঁটে বেড়ানো  মুরগিকে কতো বিরক্ত করছি।
দেখছি সন্তানকে বাঁচাবার অভিপ্রায়ে সেই নিরিহ মুরগিটাই কি ভয়ানক হয়ে উঠতো।
কিন্তু তখন বুঝিনি, ওই মুরগিটাও যে একটা মা!


মা, সন্তানের জন্য তুমি পৃথিবীর সকল স্থানে,
ভিন্ন বেশে মমতার একই রূপ!
মা... তোমার জন্য কখনই একটি দিন যতেষ্ট নয়।


ইতি,


তোমার অধম সন্তান


বিঃ দ্রঃ - আম্মু তোমাকে কখনও উপরের লিখিত ভাষায়  কথাগুলো বলতে পারবে না।
কারন আমি সবসময় তোমার সাথে কর্কশ কন্ঠে কথা বলি।
কিন্তু আম্মু, তুমিতে জানো তোমার সন্তান কেমন।
আমাকে কখনো ভুল বুঝনা মা।