মানুষ হয়ে জন্মেছি দুনিয়ায়
শুকরিয়া তাঁকে অগণনীয়, তিনি
যদি এ প্রাণটা চালান করে দিতেন
কোনো এক কুকুরের দেহে
তবে, হয়তবা কোনো নর্দমার
পাশে, অথবা কার্তিকের ধানের
আগমনের সময়, অথবা হেমন্তের
কোনো শুকনো জলাভূমি,
নালার পাশে কুকুরের অবৈধ
সঙ্গমে বীজ হতো আমার।
তারপর দীর্ঘদিন পরে
রাস্তার মলীন ধূলা, অথবা ময়লার
স্তুপের পাশে আমাকে জন্ম দিত
মা কুকুরটা, আমার খাবার
জোগাতে মাকে সইতে হতো
বাজারে দোকানিদের গরম তেলের
ঝাপটা, গরম তেলে চামড়া পুড়ে
দগদগে ঘা হতো মায়ের
হয়তো কোনো আর্বজনা
না হয় কোনো বন-জঙ্গলের কাছে
ঝিমুতে ঝিমুতে প্রাণ ত্যাগ হতো।
পাড়ার দামড়া ছেলেদের
ঢিলের আঘাত, হয়তবা লাঠির আঘাতে
মায়ের পা ভেঙে যেত
না হয় কানা চোখ নিয়ে চলত।
যদিবা চেহারাটা অন্যদের থেকে
ভালো হতো তবে
শহরের কোনো বড়লোকের ঘরে হতো
আশ্রয়, আজকাল তাও নিরাশা
বিলেতি কুকুরে ভরে গেছে দেশটা।
সাত আট ভাই-বোনের সংসার হতো
আমাদের, কেউবা না খেতে পেয়ে
রাস্তায় পাশে মায়ের, আমাদের
অজান্তেই মরে পড়ে থাকত
বাবা কাকে বলে সেতো
আমাদের অজানা,  পৃথিবীর
সব কুকুরই জারজ, জন্মটাই
আমার পাপ দিয়ে শুরু
তবেরে পাপিরাই হতো গুরু।
এই পৃথিবীতে কুকুরের
কুকুরশুমারী হয় না। হলেও
আশ্রয়ের নেই ব্যবস্থা।
মানুষের মতো সভ্য জীব যেখানে
অসভ্য, সেখানে আর
নগন্য জীবনের কী দাম আছে
কিন্তু কোরআনেও
আমি কুকুরের কথা আছে।