সে এসেছে, দেখা হয়েছে,
সামনা-সামনি দুজনে
তার সাথে ছিল
ডাক্তারের নাড়ি কাটা কাঁচিটা
তার চোখ বন্ধ ছিল
বন্ধ করা চোখ নিয়েই সে
অন্ধকারকে জয় করেছে।
চেহারায় কোনো মলীনতা ছিল না।
শুধু রক্তাক্ত কাপড়ের পরে
পশ্চিমে কাত হয়ে শুয়েছিল
কিন্তু, তার চোখে ছিল ঘুম
সে তার নিরন্তর ঘুম।
পায়ের ওপর পা ছিল তার
যেন শৌখিন নিদ্রারত, রূপকথার পরী  
অতি সন্তর্পণে চুপ করে
কাউকে দেয়নিক ব্যথা
হয়নিক কথা, বালিশে রাখে নি মাথা
লাগে নি গায়ে উষ্ণ কাপড়ের উম
দেয় নি ডাক বাবা বলে
কি অভিমান তার
জমা বুকেরি ভিতর
চলে গেল তাই অন্তরালে।
সেদিন সূর্য কিন্তু
জেগেছিল পুব দিকে
অগণন রোদেরা খেলছিল
পৃথিবীর এপার-ওপার
চাঁদ কিন্তু জেগেছিল অভিমানেে
আঁধার তাই দরজায় কড়া নাড়ে
মাকেও রাখিল সে পর করে
ওঠেনিক কোলে
খায়নিক দুধ বুকের
শুধু একটা কবিতা লেখা হয়েছে দুখের।
আমি একবারও কাঁদি নি
কাঁদব কেনরে! আমিও মান করেছি!
শুুুধুই থেকে থেকে
কান্নার ঢেউ জাগে বুকের ভেতর
যখন ভেসে ওঠে তার
ঘুমন্ত মুখখানি।
তার ঘুম দেখেে
আজ আমারও থুব ঘুমোতে ইচ্ছে হয়
বুঝেছি নূতন করে
এ পৃথিবীতে সকলেই অসহায়।