(০১)
ছুটন্ত মহাপৃথিবী
-বিচিত্র কুমার


একটা পাখির পিছে ছুটতে ছুটতে
আজ আমি বড্ড ক্লান্ত-
হয়তো বা সে কোন ফুলপরী কিংবা রমনী;
যাকে আমি হৃদয়মাঝে আটকিয়ে রাখতে পারি নি।
কচু পাতায় যেমন অশ্রু বেশি ক্ষন থাকে না,
তেমনি বিশ্বসংসারে টাকা ভূমি আর নারী;
এই তিনটি জিনিস,কারু চিরজীবন আপন থাকে না।
তবু আমি নকশীকাঁথার মাঠে কত স্বপ্ন এঁকেছি
কিছুতেই তাকে ভুলতে পারি নি।


(০২)
মনহরিণী কদম ফুল
-বিচিত্র কুমার  


ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ে মন করে হায় ব্যকুল !
অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে মনহরিণী কদম ফুল ।
নিদারুণ তার রূপের বাহার সাদা পাড়া হলুদ শাড়িতে ;
সেজেগুজে হাতছানি দেয় কদম ডালে তার বাড়িতে।
ইচ্ছে করে তার হারিয়ে যেতে নীল আকাশের দেশে
তাইতো সে হাতছানি দেয় বর্ষা রানীর বেশে।
লুকিয়ে থাকে অসংখ্য সবুজ পাতার ফাঁকে ;
হৃদয়-গভীরে স্বপ্নস্মৃতি এঁকে ।


(০৩)
রৌদ্রস্ফুলিঙ্গ
-বিচিত্র কুমার


সূর্যরশ্মিতে হঠাৎ ফুল ফুটেছে,
সে ফুলের তেজে আকাশ হয়েছে আগ্নেয়গিরি;
মেঘ আর বৃষ্টি হারিয়েগেছে হিমালয় পর্বতমালায়
বৈশ্বিক উষ্ণতাপে জ্বলছে আলোকিত পৃথিবী।
নীল আকাশে লাল ডিমের মতো যে স্ফুলিঙ্গ
ইদানীং সেটা গনগনে রৌদ্রস্ফুলিঙ্গ।


(০৪)
চুমুকাব্য
-বিচিত্র কুমার


ইদানিং, পার্কে পার্কে
চুমু জন্যও দিতে হয় অতিরিক্ত ট্যাক্স;
তাহলে,প্রেমিকার সাথে ছাতার নীচে মুখোমুখি
নিজের ইচ্ছেমতো করা যায় চ্যাট।
ঝোপঝাড়ের মশাগুলোকেও দিতে হয় কিছুরক্ত
ওরা জানে, প্রেমিক-প্রেমিকারা চুমুর ভক্ত।