যৌবন কাল যেন এক উড়ন্ত বেলা
মেলে দিয়েছি আমি পাখির ডানা,
সেই টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া
স্বপ্নেরা গল্পে করে আনাগুনা।


একাকী নিস্তদ্ধ বাড়ি ফিরি সমস্ত দিনের শেষে
ছুটি যাই আবার সকাল হলে,
ঐ রৌদ্রে কী বৃষ্টিতে ভিজে প্রেম যমুনার ঘাটে
যেখানে গেলে শত কুমারী মেয়ের দেখা মিলে।


হাজার শতাব্দী ধরে দেখা নেই কোন
একাকী রূপসী কুমারী মেয়ের,
আজ আমি বড় কান্ত পরিশ্রমী শ্রমিকের মতো
জীবন সমুদ্রের নবীন তীরে।


ঐ খানে বসে আমি দেখছি আমার হৃদয়ের কান্না
এই সবুজ নদী মাতৃক দেশে,
হঠত্‍ দেখি সুদূরে এক নীলকণ্ঠ পাখি
একাকী উড়ছে এক সোনালী ধানের ক্ষেতে।


রূপ তার অপরূপ প্রকৃতির বেশে
ও যেন স্রষ্টার একান্ত সৃষ্টি,
ওকে দেখে আমার দু চোখে এলো
অঝরে সুখের ফোটা ফোটা বৃষ্টি।


যে যুবক জীবন চলার পথ
হারিয়ে ফেলেছিল একা,
হঠাত্‍ সে খুঁজে পেল পথ
নতুন রথের দেখা।


আকাশের নীল রং সরে গেল দূরে
আমার জীবনে আশার প্রদীপ সে ফিরে দিলো সুখে,
অবশেষে দু'জনে চুপিচুপি জোনাকির বেশে
মনের সব কথা বলা হলো হাতে হাত রেখে।


লেখাঃ০৮/০৮/২০১৫
----- বগুড়া।