পিতামাতা
____কল্যাণ চন্দ্র রায়


যখন তুমি ছোট্ট ছিলে
ছিলে অসহায়
মা-বাবা ছিলো তোমার
পরম আশ্রয়।
নিজ হাতে পারোনি তুমি
কিছুই তুলে খেতে
নিজ পায়ে পারোনি তুমি
এক পাও চলতে।


মা-বাবা একটু খানি-
চোখের আড়াল হলে,
তখন তুমি কাঁদতে ভয়ে
হাসতে কাছে পেলে।


এখন তুমি, করো মনে;
ছোট্ট বেলার কথা-
দিওনা কভু, ভুল করেও
তাঁদের মনে ব্যাথা।


ফেসবুকে আর ইউটিউবে
এখন যাহা দেখি,
মা-বাবার কষ্ট দেখে
দুখে আৎকে উঠি।


এইতে সেদিন দেখলাম
এক কুলাঙ্গার ছেলে
বৃদ্ধ বাবারে করছে প্রহার
বিস্কুট খেয়েছে বলে।


আর এক কুলাঙ্গার-
বউ এর কথায় চোলে,
বৃদ্ধ মাকে বস্তায় ভরে
দিয়েছে ড্রেনে ফেলে।


সেই মা যখন সুস্থ হলো
হাসপাতালে থেকে
ছেলের মঙ্গল চাইলো তখন
ঈশ্বরকে ডেকে।


উদ্ধার করি প্রশ্ন করলো
তোমার কি রাগ হয়না
সন্তান তোমায়, কষ্ট দিলো
অভিষাপ কেন দাও না।


বৃদ্ধা বলে ওরে বাপ
সে তো নাড়ি ছেড়া ধন
তার খুসি দেখলে পরেই
সুখে ভরে মন।


উদ্ধার কারি প্রশ্ন করে
এখন কোথায় যাবে
সন্তন তোমায় পর করেছে
বৃদ্ধ-আশ্রমে কি রবে?


কেঁদে কেঁদে বৃদ্ধা বলে
মা কভু পর হয় না
বাড়িতে আমি যাবোরে বাপ
খোকারে ছেড়ে থাকবো না।।


মা-বাবা এমনি হয়
সন্তানরে ছাড়ে না
সন্তান শত দুঃখ দিলেও
সন্তান কে কষ্ট দেয়না ।।


রচনাকাল:১৮/১২/২০২০ইং
চৌহালী, সিরাজগঞ্জ।।