যোগটা বুঝি বিয়োগটাও মুটামুটি
গুন ভাগে বড় কাঁচা
তাই হয়তোবা মেলেনা আমার ছোট্ট জীবনের অংকটা।


হাসি খুশি উৎসব আর সুখে থাকার দিনগুলা
যোগ করি সব অর্জিত ছোট বড় সাফল্যতা।
যোগফলের সাথে গুন করি ভাগ্যে পাওয়া যেটা।


পরাজয় হতাশা না পাওয়ার বেদনা
বিয়োগের পাশে রাখি কষ্ট দুঃখ যত যন্ত্রণা।
অবশিষ্ট সুখগুলো ভাগ করতে নিজেকে  প্রয়োজন হয়না
কিন্তু দুঃখ ভাগের সময় কেও থাকে না।


বহুদিনের জমানো হিসাব এতো সহজে মিলবেনা।
তাই ডেবিট ক্রেডিটে বসিয়ে খুলেছি জাবেদা।
খতিয়ান করলাম রেওয়ামিল করলাম
কিন্তু চূড়ান্তে এসে আর মেলেনা।
পরিশেষে অনিশ্চিত হিসাব বসিয়ে মনটাকে দিলাম শান্তনা।
জীবন নামের অংকটা গণিতিক সূত্রে সমাধান হয়না
শেষমেশ খুঁজে নিলাম শরিয়তি পন্থা।


এখানকার নিয়ম সূত্র সবি বিধাতা প্রদত্ত
বিচারক একজনা চলবে একজনারি বক্তব্য।
জীবনে কি পেলাম আর কি পেলাম না
সেটাতো সুধুই ফালতু ভাবনা।
বন্ধ করে হিসাবের খাতা
মিজানের পাল্লাই আমল করেছি খাড়া
দেখি আমিতো ষোলআনাই দিনা।