রোজ রাইতে সেতারার বুক থাইকা
বাইর হইয়া যায় ;
এক টুকরা নাছোড়বান্দা দীর্ঘশ্বাস।
ঘরের আনাচে কানাচে এখানে সেখানে
উঠোন রাস্তা পাড় হইয়া চইলা যায়
রশিদ মিয়ার বাড়ি।
সারাটা দিন শুধুই হুঁ হুঁ করে কাঁদে।
ক্যান সে মাঝে মধ্যে চইলা যায়
কদম তলার হাটে !
ক্যান বারে বারে গুমরে কাঁদে তার পৃথিবী !
আইজও কি রশিদ মিয়া আড়তদারী করে
নাকি সব ছাইরা দিয়া যাত্রা দলে থাকে !
রশিদ মিয়া অহন ক্যামন আছে ?
তার বুকেও কি আকুলি বিকুলি করে
কষ্টের জঞ্জাল !
নাকি শুধুই ফাইটা চৌচির হয়
সেতারার পিঞ্জর !
রশিদ মিয়া আইজ আর তারা গোনে না ।
খোঁজে না অন্তর পাগল করা চান্দের রাত্তির।
আইজ আর কয় না রশিদ মিয়া
সামনের শরৎ চান্দে, তোমারে ঘরে নিয়া যামু।
এখন রশিদ মিয়ার চউখ্যে ভাসে জরিনার ঘর।
আর সেতারা একলা খোঁজে চান্দের রাত্তির।