দখিনা জানালা খুলে রেখেছি
সবুজ আঁচলে মুখ ঢেকে হাসবে
এক টুকরো লাজুক কাঁচা সোনা রোদ।
আমার জীয়ন সোনার নরম ঠোঁটের চুমুর মত
বয়ে যাবে আহ্লাদী বায়ু।
কখনোবা;
কাঁকনের রিনিঝিনি শব্দে
উচ্ছ্বসিত হবে কামুক সময়।
ঘরদোর গেরস্থালী ভালবাসার খুনসুটি
বিকেলের ঝিঙে ফুল আর সরষে হাসি
আমায় আলোড়িত করে।
জাহাজের সাইরেন পাখির কলতান
উচ্ছল তরুণের রক্তাভ মুখে নীরব চলে যাওয়া,
চোখের কোনে একটু জল এনে দেয় কখনো।
সাঁঝের দুয়ারে সন্ধ্যার লাল পেড়ে শাড়ীর দেহ পল্লব
বিমুগ্ধ করে আমায়।
কৃষ্ণ বাগানে চন্দ্রমল্লিকার মোনালিসা হাসি
ভাই রুহুলের বাঁশের বাঁশি,
হাওয়ার সাথে ভাসিয়ে দেয়া
অন্তর পাগলা সুর,
কখন যেন হৃদয়ের আস্তরে
একটু আঁচ লাগিয়ে দেয়।
সুনসান নীরবতা!
অলস দেহ মনে একে একে গা এলিয়ে দেয়
প্রকৃতির নিয়ম।
কেউ আঁকড়ে ধরে যৌবন
কেউ ভাসিয়ে দেয় ভাঁড়ের জলে।
আমি প্রতীক্ষায়;
সকালের একপ্রস্থ লাজুক কাঁচা সোনা রোদ
আহ্লাদী হিম বায়ু
কাঁকনের রিনিঝিনি!
কই? কেউ আসলো নাতো !
জানালা তো খোলাই ছিলো !
-------------------------