জানিনা আমি তোমার দেশের দুঃখ কেমন
আছে কি নেই ঠিক জানিনা, ভাগ্য যেমন।
আমার দেশের দুঃখ গুলো অন্যরকম
খুব গরমে ক্লান্ত দেহ ঘুমায় যেমন।
শরীর চুইয়ে রক্ত ঝরে ঘামের রূপে
তবুও জীবন চুপসে থাকে তোপের মুখে।
বর্ষা এলে দুঃখ গড়ায় টিনের চালে
জীবন কেবল পেঁচিয়ে মরে স্বপ্ন জালে।
শরৎ এলে সুখের কাঠি দুঃখের কাঠি নাড়তে থাকে
জোছনা জলে মন ভিজিয়ে স্বপ্ন বোনে।
কেউবা হাসে হেমন্ত ছোঁয়া হলুদ রঙে
যদিও তারা হাসি দিয়েই দুঃখ ঢাকে।
শীত এলে দুঃখগুলো হাড়ে লাগে
হাতির মত পায়ের তলে পিষে মারে।
বসন্ত ছোঁয়ায় দুঃখগুলো ছড়িয়ে পড়ে
মুখোশ পাল্টে ধরার মাঝে মিলিয়ে যেতে।
শহরের সব দুঃখ নাচে বাইজী খানায়
ঝগড়াঝাঁটি গলাবাজি বস্তি পাড়ায়।
নোংরা গলি বাজার মাঝে দুঃখ ঘোরে
বখাটে সব দুঃখ ছড়ায় গলির মোড়ে।
দুঃখ নিয়ে হইচই করে ট্রেন লাইনের ঘুপচি ঘরে
হুইসেল দিয়ে দুঃখ নিয়ে রাতের ট্রেন ছুটে চলে।
আমার দেশের দুঃখগুলো ধুলো হয়ে উড়তে থাকে
বিত্তবানদের পায় না ছুঁতে তোমায় আমায় জড়িয়ে রাখে।