বন্ধু; আমি তো কবি নই।
তাই লিখতে চাইনা কবিতা।
কতবার দেবীর পায়ে অঞ্জলি দিয়েছি
কেদেঁছি!
বিনয়ের সুরে বলেছি;
দেবী,
আমায় কিছু শব্দ দাও।
কিছু ছন্দ!
প্রেম প্রণয় আলিঙ্গন শিহরণ
ভালোবেসে যাওয়া তপ্ত মধুবন।
আমায় একটু জল দাও দেবী
ঠান্ডা সফেদ জল।
যে জলে উষ্ণ যৌবন ভাসিয়ে দেয়া যায়।
ভেসে ভেসে মৃদুতা নয়নে
কবিতা পড়া যায়।
সেই কবিতা,
যে কবিতায় রক্ত সঞ্চালিত হয়
শিরা-উপশিরায় ভালোবাসায়।
বারুদে আগুনে জ্বলে ওঠা যায়!
বেঁচে থাকার জন্য মরে যাওয়া যায়।
সেই কবিতা!
যে কবিতায়;
কবি হওয়া যায়।
কবিতার নাভিমূলে গুজেঁ দেয়া যায়
সবুজ শাড়ীর কামুক পাড়।
দমে দমে ছন্দতালে জন্ম দেয়া যায়
বৃষ্টিজলে নেয়ে ওঠা একটি সফেদ সকাল।
যার যৌবনের ভাজেঁ ভাজেঁ থাকবে
মিষ্টি রোদের লাক্ষারস।
থাকবে আমার গাঁয়ের
অবারিত সৌন্দর্য
চারুলতা মাধবীদের ছন্দময় চলার
নান্দনিক রুপ।
থাকবে হেমন্তের ভরা যৌবনে
ধানক্ষেতের সলাজ হাসি
আর;
বর্ষায় ভেজা পারমিতার নিখাদ শরীর।
সেই কবিতা।
যে কবিতার পড়তে পড়তে থাকবে
শিউলী শব্নম আর কৃষ্ণচূড়া হাসি।
যেখানে থমকে দাড়ায় সুমিত্রা
ওড়ায় অম্বরী।
-----------