কোন এক প্রত্যুষে প্রিয় বন্ধুকে বললাম
চল, ঘুরে আসি।
তখন দিনের শরীর চুইয়ে পড়ছে রুপালী আলো
ঘাসের ডগা থেকে খসে পড়ছে নীহারবিন্দু।
কাঁধঝোলা ব্যাগে তেমন কিছুই নেই
অতি প্রয়োজনীয় টুকটাক জিনিস
আর মুঠো মুঠো স্বপ্ন।
গাঁয়ের মেঠো পথ;
মুঠো ভর্তি চকচকে মার্বেল ছড়িয়ে খেলে দুরন্ত বালক।
আমাদের স্বপ্ন থেকে বেরোয় আলোর বিচ্ছুরণ।
ছড়িয়ে দিতে চাই আমরাও!
দুরন্ত বালকের মার্বেলের মতো ঘুরতে ঘুরতে
গড়াতে গড়াতে ছুঁয়ে যাবে আমাদের মায়ের চোখ।
যে চোখ তার সন্তানদের;
এক টুকরো হাসির জন্য জেগে থাকে রাত দিন।
আমাদের স্বপ্ন গড়াতে গড়াতে
নতমস্তকে দাঁড়াবে পিতার পায়ের কাছে।
যে পিতা প্রতীক্ষায় আছেন
শরীরের ঘাম মুছে চেয়ার পেতে একটু গল্পের জন্য।
আমাদের স্বপ্ন গড়াতে গড়াতে ছুঁয়ে যাবে
কোন এক বোনের নাকফুল সিঁথির সিঁদুর।
হাসতে হাসতে ছুটে বেড়াবে গাঁয়ের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
মাটির গভীর থেকে খুঁজে নেবে প্রেম।
স্বপ্নেরা এমন কিছু বেসামাল নয় ;
গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা বই নিয়ে ছুটবে ভাবনাহীন
আতুর ঘর থেকে ছিটকাবে না কেউ চিকিৎসাহীন।


এসবই স্বপ্ন আর মাটির গল্প।
হঠাৎ বৈরী বাতাসে কথার ফুলঝুড়ি নিয়ে
হুড়মুড় করে এলো একদল সেবক।
তাদের মুখ লাল কাপড়ে বাঁধা,
হাতে বল্লম আর সমাজ সেবার প্রেসক্রিপ্‌শন।
তাদের শরীরময় খেলা করে টাকার গন্ধ।
টাকার গন্ধে বুঁদ হয়ে ছুটছে মানুষ
আমাদের গায়ে কোন টাকার গন্ধ নেই!
কেবল মাটির গন্ধ নিয়ে ডুকরে কাঁদে স্বপ্ন।