ডায়রির পাতাগুলো তেমন ভাবেই পরে থাকবে,
কিছু লেখা পাতা আর কিছু খালি পাতা;
পরে থাকবে ঠিক তেমনি ভাবে।
পরে থাকবে সেই কলমটিও যেটা দিয়ে লেখা, হয়েছিলো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলি।
তেমনি ভাবে খোলা থাকবে পর্দা মেলা সেই জানালা টিও,
সেটা দিয়ে একটু একটু করে প্রকৃতির শীতল হাওয়া বইবে,
আর টেবিলে রাখা ডায়রির পাতা একটা একটা করে  উল্টে যাবে;
যেনো দেখে মনে হবে,
প্রকৃতি আমার লেখা আধখানা সেই কবিতাটা পড়ছে।
আর সেই শীতল বাতাসে কলমটা একটু করে নড়বে যেনো মনে হবে,
প্রকৃতি আমার সেই অর্ধেক লেখা ডায়রিটা
তাদের নিজেদের মতো পূরণ করতে চাচ্ছে,
কিন্তু পাড়ছে না।
জানিনা কতোদিন মানবশূন্য পড়ে থাকবে সেই টেবিল আর চেয়ারটি,
যেটায় বসে লেখা হয়েছিলো কতোই কাব্যখানি।
যেদিন আমি থাকবো না,
সেদিন হয়তো,
টেবিলের উপরে পরে থাকবে সেই চায়ের কাপ।
যেটায় হয়তো আর কখনো কেউ চা ঢালবে না,
চুমুকও লাগাবে সেই চায়ের কাপে।
আমি যখন থাকবো না,
চলে যাবো কোনো এক না ফেরার দেশে
রেখে যাবো আমার হাজারো স্মৃতি।
আমার পেছনে ফেলে যাবো -
আমার সেই পথচলার চিহ্ন খানি,
হয়তো কোনোদিনে বা কোনো কালে,
অনুসরণ করবে কেউ চলবে আমার সেই পদচিহ্নে।
আগেও কি হবে সেটা আমি ভাবছি যেটা -
নাকি,
শত শত ধূলো আর ময়লার মাঝে  জমে থাকবে আমার সেই স্বপ্ন আর ভালোবাসা গুলি।