গাছের ডালে বসিয়া পাখি মধুর সুরে ডাকিছে।
আহ কি ভারি মধুর কণ্ঠ গো তোমার,
এমন কণ্ঠ তো আর কোনোখানে নাই।
আচ্ছা পাখি ভাই একটি প্রশ্নকরি তোমায়?
ভয় করিওনা হে পাখি ভাই আমায়
ভাবিতে পারো, বন্ধু তোমার।
তবে করি তোমায় প্রশ্ন এবার?


পাখি:
ভয় করিনা কেমন করে
বন্ধু বলো তুমিই আমায়?
তোমরা তো মানুষজাতি
ভাই কিংবা বন্ধু,
সার্থ পেলে হয়ে যাও
তাহার পরম শত্রু।
তুমি যখন বলেছ
আমায় ভাই কিংবা বন্ধু,
বলো তবে আমার কাছে
কি আছে তোমার জানার মতো?


লেখক:
হক বলেছ পাখি বন্ধুু।
মানুষজাতি সৃষ্টির সেরাজীব,
তবুও খারাপ বেশি সকল প্রাণীর নিচ।
তবে সব মানুষই নয়তো, কিছু মানুষ ভালো আছে
খারাপ মানুষের জন্য তারা কলঙ্কের খাতায় রচে।
তবে এবার বলোতো ভাই আমায়
জানিতে যা চাই আমি,
অমন সুন্দর সুরটি গলায় পাইলে কোথায় তুমি?


পাখি:
বিধাতার সৃষ্টি আমরা
বিধাতায় করিছে দান
যেমন করে পেয়েছে,
তোমরা মৃত দেহে প্রাণ।


লেখক:
আচ্ছা তবে বুঝলাম এবার।
এরেকটি প্রশ্ন ছিলো,
মনে যদি নাও না কিছু
করেই ফেলি বলো?


পাখি:
ঠিক আছে বন্ধু তুমি
জলদি করে বলো
আমার বাপু তাড়াগো অনেক
সন্ধ্যা হয়ে এলো।
সু্য্যি ডুবার আগে আমায় বাসায় যেতে হবে।


লেখক:
সুরটি তোমার ভারি সুন্দর
তাই নিয়ে যে গান ধরো।
এতো সুন্দর গানটি তোমার
কেমন করে মাথায় এলো?


পাখি:
আমরা হলাম পাখিজাতি
প্রকৃতি মোদের ভাই
প্রকৃতির নৃত্য দেখে
অমন গান গাই।
বনের লতা
গাছের পাতার স্নিগ্ধ সবুজ,
শিখাইছে মোরে ভাই।
সকল প্রশ্নের উত্তর পেলে
যাইগো এবার ভাই।


লেখক:
ঠিক আছে ভাইগো আমার
যাও তবে আজ।
বেঁচে থাকলে কোনোদিন
দেখা হবে তোমার সাথ।



কাব্যগ্রন্থ - পাখিজাতি