”আশরাফ “ আমাকে ফোন করে বলল,
তুই কি প্রবাসীর কান্না শুনিস ?
তবে কেন নাহি লিখিস কবিতার ছন্দে ?
আমি বল্লুম, কি হবে লিখে কবিতার রন্ধে ?
চারিদিকে যা ইচ্ছে তাই –নেয় কেড়ে ঐ
শুধু চাই আর চাই ।
কবিতার ছন্দে কত যে গাই
কেহ নাহি শুনে ভাই ।
কবি যে আজ উদাসী মনে আউলা ঝাউলা চুলে
কলমের ছোঁয়ায় লিখে যায় গান বিরহ যত ভুলে
এঁকে যায় ছবি প্রবাসী জনের দুর্বিসহ প্রাণের
রক্ত ঝরা কায়িক শ্রমে প্রবাহিত জল ধারার
অর্জিত মূলের সবটুকু দিয়ে কল্পিত কত গানে
প্রবাসী বন্ধু, প্রবাসী ভাই- অমীত সুরের টানে
ঐ দুর বসে ছিটে যায় রং কল্পিত রূপের সাজে
রেমিটেন্স দিয়ে…
চায় দেখে ”মা”কে হাসবে নিত্য কাজে ।
সে কি গুরে বালি !
দিয়েছে যা -  কেড়ে নেয় তা - প্রহরীর আগোচোরে !
ছৈহীন তরী -মাঝিহীন দাড়
উত্তাল তরঙ্গে -পালহীন নৌর !
কেঁদে যায় প্রবাসী - দিবা নিশি ভোর
একি হল হায় - সবই নিল চোর !
বেনিয়ার শোষন- স্বৈরাচারের শাসন
উত্তাল গর্জনে -পিতাহীন পতন !
প্রবাসীর মিনতি কবিতার ছন্দে পার যদি গেয়ে
বন্ধন ছেড়ে ঐ দুরপানে কত ছেলে – মেয়ে
গাম ঝরা শ্রমে মৃত্যুর কুপে প্রবাসী গ্লানী লয়ে
প্রেমহীনা প্রাণে  যাতনা সয়ে ঐ দুর যেয়ে
কত যে খুঁজে  নাহি পায় তারে একাকী শুয়ে
নিঃসঙ্গতায় তবু সে জাগে সোনালী কিরণ ছোঁয়ে ।
হারেনি কভু নাহি হয় পিছু- ছুটেছে অকুতো ভয়ে
মায়ের পালে  আলো দিবে বলে সদা যায় বয়ে
সেই কিনা ওরা প্রহরীর ভুলে কত যে ভয়ে !
কর্ষ্টাজিত অর্জ্ন যত- কে নাকি যায় খেয়ে !
প্রবাসীর উত্তর কে দিবে যেয়ে ?
প্রতিদানে ওদের রিজার্ভের পেটে সুষম খাদ্য নিয়ে
ঐ ছুটেছে ”মা “টি আমার - লাল- সবুজের গায়ে ।
কষ্টে পাওয়া অর্জ্ন ওদের ঘুরছে বাধা জয়ে ।
ওরে নেতা -ওরে পিতা- যারে অভয় দিয়ে
প্রবাসী শক্তি -প্রবাসী আলো- দিসনা তোরা ক্ষয়ে ।
         ***************