দিনের প্রখরতা শেষে পালক গুটিয়ে সূর্য্যি মামা নেমে যায় পশ্চিম দিগন্তে।
শুভ্র স্নিগ্ধ আকাশে ছড়িয়ে দেয় তার লাল রক্তিম আভার খানিকটা,
ধীরে ধীরে রক্তিম আভা ছড়াতে ছড়াতে-
একসময় অন্ধকারের অতলে হারিয়ে ফেলে নিজের অস্তিত্ব।
আর এভাবেই নেমে আসে সন্ধ্যা,
সন্ধ্যা ছাপিয়ে গভীর রাতের অন্ধকার।
শহরের রাজপথ, অলিতে গলিতে ল্যাম্প-পোষ্টে জ্বলে উঠে,
সিটি কিংবা পৌরসভার লাগানো সোডিয়াম বাতিগুলো।
আলো ছড়িয়ে নিমগ্ন থাকে অন্ধকার দূর করার ব্যর্থ চেষ্টাতে।
ঠিক তখন ইট পাথরের কোন এক ঝুপড়ি ঘরে,
ল্যাম্প-পোষ্টের আবছা আলোয়,
পলেস্তার খসা দেয়াল ঘেষে খদ্দেরের অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে থাকে শরীর ফেরি করা কিছু মানুষ।
দিন শেষে কিছু মানুষও বিনোদনের তাগিদ অনুভব করে।
আর এভাবেই রাতের সাথে রতি ক্রিয়ার সম্পর্ক নিবিড় গাঢ় হয়ে ওঠে।
দুজন মানুষের অনিচ্ছাকৃত বিনোদনের ফসল স্বরুপ-
লিংগ ভেদে কতোগুলো ছেলে বা মেয়ে রুপ পরিগ্রহ করে
আগমন ঘটে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মানব শিশুর।
যাদের জায়গা হয় নিষিদ্ধ পল্লী,
অনাথ আশ্রম নয়তো ডাস্টবিন,
বা দুর্গন্ধ ছড়ানো ম্যানহোলে।
রাতের বিনোদন শেষে ফের দেখা মেলে রক্তিম সূর্য্যি মামার।
দিন শেষে আবার পালক গুটিয়ে নিদ্রা যায় সূর্য্যি মামা,
আর প্রতিদিনকার মতো জেগে থাকে শরীর ফেরি করা মানুষগুলো।
এভাবেই চলতে থাকে দিনের পর দিন,
রাতের পর রাত,
মাসের পর মাস,
বছরের পর বছর।
হয়তো একই নিয়মে চলতে থাকবে অনন্তকাল,
আর ক্ষনিকের বিনোদনের ফসল হিসেবে
আগমন ঘটবে হাজার হাজার নিষিদ্ধ শিশুর।