প্রাণোচ্ছল এক নদী প্রচণ্ড বেগে বয়ে চলে
লোকালয় ঘেঁষে দেশে দেশে
স্বচ্ছ জল ঘোলা হয় রক্ত পলি মলে
মৃত্তিকা জাগে সেই সে রসে।
বহে চলে নদী নিরবধি,স্রোতের কণ্ঠে আসে ফরমান
মহাকাল হাকে যুদ্ধের দিকে
মৃদঙ্গ তালে মাঠে মাঠে দুলে ওঠে রক্তে রঙিন ধান!
চাষাদের ঘরে স্বপ্নেরা তবু ফিকে-


নদীর কণ্ঠে রমণীরা কাঁদে,লোকালয় ভাসে বন্যায়
জীর্ণ শিশু বুভুক্ষা মরে
মনান্তরে চির'ধরা ঐক্যের দেয়ালে আছড়ে পড়ে অন্যায়
অভাব হানা দেয় গোলাঘরে।
স্বভাবের দাস অভাবে'ই মরে,জলে জঙ্গলে বাড়ে লাশ
শেকলে বাঁধা ঔদধত্য বাহু
অট্টহাস্যে নেবে আসে আমাদের ঘরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস
মুক্তির সূর্যটা গ্রাস করে রাহু।


যারা লিখেছ কবিতা হাজারে হাজার- রাজার পাদুকা মুছে
রাজসিক কবি এবার থামো
কালের বেনোস্রোতে সব ভাসিয়ে নেবে,কবিতার খেদ যাবে ঘুচে
বিভেদ ভাঙতে এবার যুদ্ধে নাবো।
কালান্তরে কেউ ঘাঁটবে না এই সব কবিতার কঙ্কাল
তবু মিছেমিছি বসে খেল শব্দের খেলা
রাশিরাশি জমা কর জঞ্জাল
স্রোতের কণ্ঠে শোন,আর নাই বেশি বেলা।