আমার জন্মের ঠিক কিছু মুহূর্ত পরেই ঈশ্বরের জন্ম-
কর্কশ কণ্ঠের আজানে।
মায়ের কোলের ভাগে,বাবার পিঠির দাঁগে ঈশ্বর সরল
একলা অন্ধকার ঘরে আমার আঙ্গুল ধরে-
ঠিক আমার সহদর।
আমার প্রথম বোল ফুটলে ঈশ্বর বোবা এবং বোধির হলেন
দলছুট সময়ে গাঁয়ের মাঠে ঈশ্বর রাখাল বালক-
আমার প্রিয় বন্ধু;
গমের ডাঁটা চিবুতে চিবুতে আমরা একসঙ্গে হেঁটেছি আলপথে,
ঘুড়ি উড়িয়েছি গ্রীষ্মের কটকটে রোদে।
ঈশ্বরের গায়ের রঙ তখন মিশমিশে কালো,
পরন্ত বিকেলে নির্দয় মুঠোয় গঙ্গাফড়িং ধরার পৈচাশিক আনন্দে
পাটকাঠির ডগায় আঠা মেখে ফড়িং শিকারি ঈশ্বর
আমাকে ডেকে নিতো গোপনে-
খুব গোপনে বয়ঃসন্ধির দোরগোড়ায় ঈশ্বর আলৌকিক।
আমি ইস্কুলে যেতাম,ঈশ্বর মসজিদে;
বাবার মতো টুপিতে-
সাদা ধবধবে দাড়িতে ঈশ্বর বড্ড প্রবীণ!
বার্ধক্যে উপনীত ঈশ্বরকে চাপানো হলো আমার ঘাড়ে
মগজের দখল চাইল চোখ রাঙিয়ে-
প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যুর ভয় কাঁপিয়ে দিল শিরদাঁড়ায়;
আমি তাকে শেখালাম- চির সত্য হলো মৃত্যু
আমি তাকে দেখালাম- মানবিক চৈতন্যোদয়।