আমাদের গ্রাম খানি কংশ নদের তীরে,
ছায়াঘেরা, মধুমাখা বায়ু বহে ধীরে।
গাছে গাছে পাখি ডাকে,ফুটে নানা ফুল,
নিরমল নদীর জল বইছে কুল কুল!
ছোট ছোট ঢেউগুলি উঠে দুলে দুলে,
মাছরাঙা পাখি এসে ডুব দেয় জলে।
হাঁটু জলে সাদা বক এক পায়ে ঠায়,
তপস্বীর মত স্থির শিকারের আশায়!
চৈত্র মাসে শুকায় নদী গরু চড়ে মাঠে,
পায়ে হেঁটে পার হয়ে চাষী যায় হাটে!
আঁকাবাঁকা মেঠোপথ চলে গেছে দুর,
রাখাল ছেলে বটমূলে তোলে বাঁশির সুর।
কর্মমূখর গ্রামবাসী অবসর নেই কেহ,
দাওয়ায় বসে শিশু কোলে মায়ে করে স্নেহ!
ভোর হতেই ঘুম ভাঙ্গে আমার গাঁয়ের চাষীর,
কর্মচঞ্চল মনখানি তার ঘরে রয় না স্থির!
জোয়াল কাঁধে গরু নিয়ে চলে যায় ক্ষেতে,
নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে তারা কাজে থাকে মেতে!
ফসলের ক্ষেতে কাজ করে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে,
সবাই থাকে কাজে ডুবে কেউ থাকেনা ঘরে।
সন্ধ্যেবেলায় ক্লান্ত দেহে ঘরে ফিরে এসে,
চোখে নামে সুখনিদ্রা রাতের খাবার শেষে!