আকাশেতে মেঘের প্রলেপ সপ্তরঙা ধনু বাঁকা,
রঙতুলির নিপুণ আঁচড় যেন কোন ছবি আঁকা।
সবুজ ঘাসে রোদ ঝলমল ফড়িং উড়ছে অতি,
বাহারি ফুলে ঘুরিয়া বেড়ায় রঙিন প্রজাপতি।
ভোরের বেলায় রাঙা রবি জাগায় সকল প্রাণ,
কাননে ফোটে কুসুমকলি ছড়িয়ে আকুল ঘ্রাণ।
সবার আগে পাখিরা জাগে করে কিচিরমিচির,
তপ্ত রোদে মাঠঘাট সব ফেটে হয় যে চৌচির!
গাছের ছায়ার শীতল পরশ খুঁজে কোন মহাশয়,
গরমে কাতর মোষের দল খুঁজে বেড়ায় জলাশয়।
আষাঢ় এলেই নামবে ঢল ফুঁসে উঠবে নদী,
আসুক নেমে বারিধারা ভিজুক নিরবধি!
পুকুর জলে চাঁদের নাচন দেখবে যদি কেউ,
আকাশ ভরা তারার মেলা সাগর ভরা ঢেউ।
মরানদীর পাড়ের কাছে ডিঙি ডুবানো আধখানা,
গঞ্জের হাটে আসা যাওয়ার পথ যে শুধু বাঁধখানা!
বাঁশের খুঁটি জলের উপর তাতে বসে পাখিটা,
গোধূলিতেও চরছে গোরু পেট ভরতে বাকিটা!
ছাইয়ের গাদায় ঘুমিয়ে আছে রাতজাগা কুকুরটি,
পাড়ার লোকে সেঁচতে এল মাছচাষের পুকুরটি!
স্নান শেষে ঠাকুর ঘরে জ্বালিয়ে দিয়েছে মোমটা,
ভিজে চুল শুকায় রোদে খুলে দিয়েছে ঘোমটা!
ইস্কুলেতে ঝুলছে তালা সবাই নিয়েছে ছুটি,
ঘরবন্দী ছেলেরা সব, খেলার মাঠে নেই জুটি!
হাতে নড়ছে তালের পাখা নেই যে শীতল ছায়া,
কোথায় আছে স্নেহের পরশ মায়ের এমন মায়া!
সবুজ নেই যে কোথাও আজ বিপন্ন চারিপাশ,
খাটছে মানুষ দিনেরাতে সেথায় তার'ই বাস!
সোনা ঝরা দিনের জন্যে আমি আজও কাঁদি,
কবে হবে শীতল ধরা আশায় বুক যে বাঁধি!