তোমরা এসে দেখে যাও মিস্ত্রির কেরামত,
ভাঙাচোরা কাঠের জিনিষ ঝটপট মেরামত।
ছুঁতারের বেটা সে, পৈত্রিক কারবার,
মেট্রিক পরীক্ষাতে ফেল করে বারবার।
ফি-বছর ফি দিতে মাথায় পড়ে বাজ-টা,
বাবা বলে-শিখে নে, মিস্ত্রির কাজটা।
টুকটাক খেটেখুটে জল করে রক্ত,
শিখে দেখে বিদ্যেটা নয় তত শক্ত।
কেমনতর কাজের ধরন একটু যদি বলি,
শুনতে পেলে বংশীধর কানটা দিবে মলি।
কেটে কাঠ-দুই ভাগ মেপে দেখে কম,
এভাবেই জোড়াতালি চলে হরদম।
বিয়েথা হয়নিকো, এখনো তাই একা সে,
সারাদিন কাজ করে, মুখ থাকে ফ্যাকাশে।
ভাত খাবার খিদে নেই, বিড়িতেই চলে যায়,
একা বসে কাজ করে, একাই কথা বলে যায়।
তিন কূলে কেউ নেই, আছে একা বংশীধর,
পৈত্রিক পদবী তার, নামের শেষে সূত্রধর।