গাঁয়ের জ্ঞানী গোপেন বাবু গাছের ছায়ে দাঁড়িয়ে,
“বল তো অতুল, কি আছে-আকাশ সীমা ছাড়িয়ে?
সৌরজগতে আছে দেখ - চাঁদ, সূর্য, তাঁরা,
এক মুহূর্তও বাঁচেনা কেউ, অক্সিজেন ছাড়া।
শ্বাসের সাথে অক্সিজেন, কোথা হতে আসে?”
মূর্খ অতুল জবাব নেই, বোকার মতো হাসে!
“ভোরেই কেন সূর্য ওঠে, সন্ধ্যায় অস্ত যায়?
বাঙালি যা অখাদ্য ভাবে, অন্য জাতি খায়!
পৃথিবীতে এতো মানুষ, এতো কেন জাত?
আমেরিকায় দিন যখন, দেশে কেন রাত?
“দিনে আলো, রাতে আঁধার, কেন হয় জানিস্?
পাহাড় হতে ঝরণা, নদী, সাগরে ধায়, মানিস?
জন্ম নিয়ে ছোট্ট শিশু বাড়ে দিনে দিনে,
বেঁচে থাকাই শেষ নয়, মৃত্যুর স্বাদ বিনে।”
অতুল কয়-“অত শত জানিনে-বিদ্যেবুদ্ধি নাই!
ডাল ভাত চারটে খেয়ে বেঁচে থাকতে চাই।"
“সারাজীবন মূর্খই রইলি, শিখলি নারে কিছুই!
এমন করে চললে অভাব, ছাড়বে না তোর পিছুই।”
খানিক বাদে তেড়ে এল পাড়ার পাগলা কুকুরটায়,
অতুল গিয়ে গাছে ওঠে, গোপেন নামে পুকুরটায়!
কুকুর দাঁড়ায় গাছের নীচে হালকা গালি ঝাড়ে!
গোপেনের গায় কামড় বসাতে যায় পুকুর পাড়ে!
গাছের শাখায় পরমানন্দে অতুল দোলায় চরণ,
জ্ঞানী গোপেন আটকে কাদায় করে ঈশ্বর স্মরণ!