বর্তমান প্রজন্ম অল্প লিখে,অল্প পড়াশুনা করেই খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠা পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। লেখালিখির জগতে  বিচরণ করা যায় সহজেই, কিন্তু স্থান করে নেয়া খুবই কঠিন। মানুষের অন্তরে দাগ কাটা এত সহজ নয়! লিখে তো অনেকেই। যশ বা খ্যাতি অর্জন ক‘জনে করতে পারে? লিখতে হলে জানতে হবে, জানতে হলে শিখতে হবে, শিখতে হলে পড়তে হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায়ও নেই! আমি অন্য দশজনের মত তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠা পেতে চাইনা। পড়তে চাই, জানতে চাই কবিতাকে,ছন্দকে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি। ছন্দ হচ্ছে কবিতা বা ছড়ার প্রাণ। আর কবিতা ছড়ার বিষয়বস্তু হল এর দেহ বা কাঠামো! তাই দেহে প্রাণ সঞ্চার করতে হলে ছন্দ প্রয়োগ করতেই হবে। দেহ ছাড়া প্রাণের যেমন অস্তিত্ব নাই, তেমনি প্রাণ ছাড়া দেহের কোন মূল্য নাই। তাই, ভাব,ভাষা ও ছন্দের অপূর্ব সংমিশ্রণে কবিতা বা ছড়া হয়ে উঠবে দ্যুতিময়। আমি যা লিখি তা যদি কারো মনে সামান্যতম আঁচড় কাটতে পারে, তবেই আমার লেখক জীবন স্বার্থক হবে। আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস এ যুগে সমাদৃত না হলেও ক্ষতি নেই। অদূর ভবিষ্যতে যদি অল্প সমাদৃত হয়েই যায়, সেটাই হবে আমার তৃপ্তি এবং প্রাপ্তি!