এক যে ছিল মাখনবাবু, পদবী তার ‘দে,’
তাই বলে কি চাইতে পার-‘একটু মাখন দে!’
মধুবাবুর নামটি ভাল, পদবী তার ‘ঢালী ,’
আয়রে বাবা কাছে আয়, একটু মধু ঢালি!
পাড়ার বুড়ো সুবলকাকু, পদবী তার ‘কুড়ি,’
তাই বলে ভেবো নাকো, বয়সও তার কুড়ি।
সাগর নামের সহপাঠী, পদবী তার ‘পাঁড়ে,’
একটিবারও বেড়াতে সে, যায়নি সাগরপাড়ে।
খেলার সাথী অমূল্য, পদবী তার ‘দাম,’
সমাজ তাকে কোনদিনও দেয়নিতো দাম।
চিরদুঃখী আনন্দবাবু, পদবী তার ‘কর,’
¯্রষ্টা কি তার সহায় হয়ে বলে-‘আনন্দ কর!’
‘হরিপদ’ কে ‘হরি’ বলি,পদবী তার ‘ভক্ত’,
ধর্মে তার মতি নাই,তবুও হরিভক্ত!
বড়বউ শোভারানী,পদবী তার ‘বর্ধন’,
সংসারে ঘিরে সদা করে সে শোভা বর্ধন!
অফিস কলিগ সম্পদবাবু,পদবী তার ‘রক্ষিত’,
তার কাছে সকল চাবি,সব সম্পদ রক্ষিত!
পাল বংশের একটি মেয়ে নাম তার ‘তুলি,’
দরিয়ার মাঝি নয় সে, ছুটবে পাল-তুলি!
গাঁধা-মার্কা ছাত্র ‘কর্ণ’ পদবী তার ‘ধর,’
শিক্ষক এসে রোজ বলে-‘তুই কর্ণ ধর!’
পাড়ার ছেলে ‘বংশী’ পদবী তার ‘সুর’,
ওঠেনি তার কখনো জীবন বাঁশিতে সুর।
‘দেবেন’ নামের বড়কর্তা, পদবী তার ‘ঘোষ,’
অফিসে তাঁর নেমপ্লেটে লিখা-‘দেবেন ঘোষ!’
সেবা নামের মেয়েটির পদবী ছিল ‘দাস,’
তাই বলে ভেবোনাকো, কারো সেবা-দাস!