স্পর্শ করো আমাকে, নারী – অঙ্গুলির অগ্নিশিখায়,
দগ্ধ করো এই পাপ-পচা জীর্ণতাকে!
তোমার স্পর্শ-সীকে উটকো ঝাঁঝরা এই দেহ
গলিয়ে দিক অস্থি-মজ্জা-শিরা-উপশিরায়...
হয়ো না শীতল বারি, হয়ো গলিত লাভা –
আমার বিষণ্ণ শিরায় ঢালো অমৃত-জ্বালা!
মিশে যাও রক্তস্রোতে, মাংসের ভিতরে,
আমার সমস্ত পঙ্কিলতা করো ছারখার!
ফাল্গুন আজ গলিত রক্তের ফোয়ারা,
কোকিলের কণ্ঠে জমেছে বিষের কাঁটা –
"কুহু কুহু" শব্দ তার বিকলাঙ্গ যন্ত্রণা,
পৃথিবীর পাঁজর ভেঙে দেয় প্রতিধ্বনি!
সেই যে নীলিমা ছিল পাখাদের আখড়া,
আজ তা ধূমায়িত শ্বাস-রোধী গ্যাস-চেম্বার!
সভ্যতা নামের শকুনি নখ দিয়ে
খুঁড়ে খায় আকাশের চোখ-ঠেরা নীল!
তবুও...
তোমার স্পর্শের রসায়নে গলে যাক
আমার ভিতরের পুঁজ-ভরা ক্ষত –
তুমি যদি হও রুদ্র-অমৃতের ধারা,
তবেই তো বাঁচা... নইলে শুধু মরণের ফসল!