কহিলো মোরে এক ভবঘুরে আধ্যাত্মিকতা কি?
ভজিলে দর্শন পাবি আল্লাহ-রাসুল, নবী
জ্ঞান প্রসারণ বুঝবি ভবে বড় আধ্যাত্মি
আত্মাই হলো বড় শিক্ষক অন্তর বিকশি ।

জিজ্ঞেসিলো ভবঘুরে জীবন-মৃত্যু কি?
জীবন-মৃত্যু ভিন্ন নহে অভিন্ন এক রশি
যারা মৃত্যুকে ভয়হীন কিন্তু জীবন উপভোগী
মৃত্যুই হলো চিরন্তন যেমন জলধিতে নদী।

কহিলো পরে ভবঘুরে কিসে আমার অস্তিত্ব?
কর্মেই রবে অস্তিত্ব যদিও তুই আত্মিকভাবে মৃত।


সুধালো পরে ভবঘুরে সুখের রাস্তা কি?
সুখের কোন রাস্তা নেই, সুখ হলো প্রতি মুহূর্তের সততা
সুখী হওয়াটাই সুখের একমাত্র রাস্তা
যে পরের তরে স্রষ্টার নিকট প্রার্থনা করে বেশি
সেই করিবে ঈশ্বরকে জয়, সেই তো মহা সুখী।


আচ্ছা! বলুন কিভাবে হয় পথ প্রদর্শক?
বিশ্বজয়ে যে অহঙ্কারহীন, মাটিতে থাকে যার পা
সুউচ্চ হবে জীবন তাহার, আরও উঁচুতে রবে তার মর্যাদা
যেখান থেকে পথ প্রদর্শক হয়ে অন্যের পথ যাবে দেখা।