নিরাপত্তাই যদি হতো চূড়ান্ত বাণী,
অমৃত-অন্ধকারে র’তাম আমি আঁকড়ে ধ’রে প্রাণী—
মাতৃগর্ভের রক্ত-নদীতে ভাসমান,
অক্ষয় আলস্যে অনাদি-অচেতন, নিরুত্তর জান!
কিন্তু ওই যে—ধূলির টান, অগ্নিগিরির গান,
ঝঞ্ঝার মুখে ছিন্ন পালের তরী, অথবা অস্তিত্বের দান!
ঝুঁকিই তো জীবন, বিপন্ন প্রজাপতির পাখা,
অস্ফুট আলোয় জ্বলে মৃত্যু, আর অন্ধকারে ফাঁকা...
নিরাপদ নীড়ে কেন ডানা গজায়?
ভেঙে দেয় আর্কিমিডিসের সুখ-সমীকরণ, সব হিসাব যায়—
ঝড়েই তো শিখি উড়তে, ব্যথাতেই বোঝা,
অস্তিত্বের অর্থ এই ঝংকার—যে শব্দ যায় না বোঝা!