"অনশনের মহাকাব্য"
প্রথম সর্গ
উদরের অগ্নিশিখা জ্বলে বজ্রনাদে
অন্ত্রের অরণ্যপথে হাহাকার ছায়া—
ক্ষুধা নামে অশ্বথামার অস্ত্র,
অন্নচক্র ভেঙে পড়ে যুগান্তরের ধ্বসে...
দ্বিতীয় সর্গ
লালসার লালিমা নয়— রক্তচন্দনের ফোঁটা
শূন্য থালায় লিখে যায় অশ্রুর অক্ষর...
অন্নপ্রার্থী হস্ত প্রসারিত করিলে
সমাজ নামে দানব গর্জে অট্টহাস্যে!
তৃতীয় সর্গ
খাদ্যের সিংহাসনে বসে অন্নপূর্ণা
উপেক্ষার চক্ষু মেলে অন্ধকারে—
ক্ষুধার্তের কণ্ঠনালী শুকায় নদীর মতো,
অন্নদাতা! তুমি কোথায় মহারাজ?
চতুর্থ সর্গ
অন্নের অভাবে জ্বলে মানবের চিতা
লাশের পাহাড়ে লেখা ইতিহাসের পঙ্ক্তি—
ভিক্ষার ঝুলি আজ কালসর্পের ফণা,
অন্নদান করো, নইলে সংহার আসে!
পঞ্চম সর্গ
অন্নহীনের অন্তিম শ্বাস উঠে মৃত্যুঞ্জয়ী
অন্নদাতার প্রাসাদে বাজে শঙ্খধ্বনি...
ক্ষুধার্তের অন্তিম যুদ্ধ মহাকালের সাথে,
অন্ন দাও, নইলে প্রলয় আসন্ন!
ষষ্ঠ সর্গ
অন্নের বিনিময়ে চাই রক্তের হিসাব—
ক্ষুধার্তের অশ্রু আজ অগ্নিবৃষ্টি!
অন্নদাতা! তুমি যদি অন্ধ হও
অগ্নিদগ্ধ হবে তোমার রাজ্যচক্র!
সপ্তম সর্গ
অন্নহীনের অন্তিম সংগ্রাম মহাকাব্যের মতো—
অন্নদাতার মস্তকে পড়ে কালছায়া...
ক্ষুধা নামে মহাশক্তি, অন্ন নামে মুক্তি—
অন্ন দাও, নইলে ধ্বংস অপরিহার্য!
অন্তিম সর্গ
অন্নহীনের অন্তিম আহ্বান মহাকালের গর্জন—
অন্নদাতার প্রাসাদ পড়ে ধূলিসাৎ!
ক্ষুধার্তের অন্তিম যুদ্ধ মহাকাব্যের শেষ—
অন্ন দাও, নইলে ইতিহাস তোমাকে খাবে!