ডাক্তার বাড়ি গিয়ে সেদিন বলেন শেখর মুচি
"আগের মতো এখন আমার নেই যে মুখে রুচি,"
ডাক্তার বলেন, "এখন কিছু চেকাপ করবো চলুন
সেটার আগে সারাটা দিন কী খেয়েছেন বলুন?"


শেখর বলেন, "ভোরে খেলাম গামলা খানেক মুড়ি
সাথে ছিলো চপ, বেগুনি গোটা দশেক পুরি,
আবার সকাল নটার দিকে বিশটি লুচি খাই
দেখুন না স্যার আগের মতো রুচি কেন নাই?


এগারোটার দিকে খেলাম আচার, আলুর দম
সঙ্গে খেলাম গোটা সাতেক রাজবাড়ির চমচম,
রুচি হারা মুখে যখন ভাবছি দুপুর বেলা
আমার মুখের রুচি কেনো করছে এরূপ খেলা!


এটা ভেবেই বিরিয়ানি ছ'সাত প্লেট খেলাম
খাবার শেষে তারাতাড়ি বাজার চলে গেলাম,
বাজার থেকে খেলাম তখন মাঠা মিষ্টি দই
সেটার সাথে আরো খেলাম দু'তিন গামলা খই।


বিকাল বেলা খেয়েছিলাম পায়েস দিয়ে রুটি
সঙ্গে ছিলো কুমার নদীর কড়া ভাজা পুটি,
আরো ছিলো কেজি খানেক ঝাঁঝাল ছোলা ভুনা
সেটার সাথে আরো ছিলো দশটি জাটকা পোনা।


সন্ধ্যা বেলা খেয়েছিলাম বাদাম চানাচুর
সেটার পরে খেয়েছিলাম তাল পাটালিগুড়,
রেডি করে এসেছি স্যার রাত্রি বেলার খানা
না খেলে হয় শরীর নষ্ট সেটা সবার জানা।


বলুন তবু করবো কী স্যার মুখে রুচি নাই?
রাতের খাবার রেডি করে এসেছি তো তাই,
পঁচিশ খানা রুটি খাবো ছানার পায়েস দিয়ে
যাবার সময় খাসির গ্রিল সঙ্গে যাবো নিয়ে।


এরচে বেশি কিছু যে স্যার খেতে পারি না
এই বেদনায় বুকের ভেতর হয়ে যাচ্ছে ঘা,
বাঁচতে হলে খেতে হবে এটাই স্বাভাবিক
কিন্তু যারা পেটুক আমি তাদেরকে দেই ধিক।


মানুষ কতো খেতে পারে আমি পারি না
কেমন করে বলুন না স্যার মানবো আমি তা?"
কথা শুনে ডাক্তার বাবুর জ্ঞান হারিয়ে যায়
এটা দেখে শেখর বলেন, "একি হলো হায়!


এখন আমি কেমন করে এর সমাধান পাই?
আগের মতো এখন যে মোর মুখে রুচি নাই।"