'বন্যার জলে'            ভিজে তলে-তলে,
               ব্যাঙের হয়েছে কাশি,
সেই শোক থেকে              অন্তর বেঁকে
               মলিন হয়েছে হাসি।


ফকিরের বাড়ি,                 ব্যাঙে দিলো পাড়ি
                ফকির দিলেন ঝাড়া,
বল্লেন বাবা,               আদাগুলে খাবা
             দেখো না রাতের তারা।                                                                  
                                                                      
যদি দেখো তারা,      তবে যাবে মারা
            হয়ে যাবে তুমি শেষ,
থাকো যদি বেঁচে      শেষ হবে হেঁচে
           মাথায় গজাবে কেশ।


ব্যাঙে বলে হায়"    বেঁচে থাকা দায়
           কেশ যদি ওঠে শিরে,
এর চেয়ে ভালো      মুখ করে কালো
                বসে থাকি নিজ নীড়ে।      


বসে থেকে ঘরে,      অন্তর জ্বরে
               এ-কি হলো তার দশা?
যেতে কিছু দিন,       দেহ হলো ক্ষীণ,
               দেখে মনে হয় মশা!


যতো পরিজন,       ফেলে আলোড়ন,
            দেখতে আসেন তাকে,
দূর থেকে দেখে    স্মৃতি যায় রেখে,
           থাকেন সবাই ফাঁকে।


কিছু দিন পরে              এলো তার ঘরে
           তার এক বড়ো ভাই,
সব কিছু শুনে      রাগে জাল বুনে
            অকাতরে মারে ঘাই।


গাধা কোথাকার,        দেবো তোকে মার
                ফকিরের কাছে কেন?
এই চরাচরে,              কাশি আর জ্বরে
           ডাক্তার নেই যেন?


ভেবে দুই জনে,       হয়ে এক মনে
              গেলো ডাক্তার বাড়ি,
সব কথা শুনে,        মনে জাল বুনে
             ডাক্তার ধরে নাড়ি।


করে কিছু টেস্ট       বলে সব বেস্ট
            শুধু মনে রোগ ভরা,
সব ভুলে হাসো        ধরা ভালোবাসো
             সেরে যাবে সব জরা।


সেই থেকে হেসে,    সাথে ভালোবেসে
              সেরে গেছে সব রোগ,
তাই বলি হাসো,    শুধু ভালোবাসো
           ধরা করো উপভোগ।


ফকিরের টানে           ভেসো না গো বানে
               একালে ফকির মিছে,
কালের তরণী              চালাও ধরণি
               না বুঝে পড়ো না পিছে।


এখনো সমাজে                 আছে ভাঁজে-ভাঁজে
                   এমন ফকির ভরা,
যেওনা সেখানে                  বিপদ যেখানে
                   ছলা-কলা মনগড়া।