ভেবেছিলাম,
হয়তো এভাবেই একদিন খুলে যাবে সব ঘোঙ্গট।
দক্ষিণা বাতাসে ফুলের সুবাস এসে
উঁকি দিয়ে যাবে বারান্দার বেষ্টনীতে,
আলতো পায়ের পরশে বিস্তীর্ণ বনের ঘাসের মতো ক্ষয়ে পরিণত হবে অনুদ্বায়ী সরণিতে।


অথচ,
কেন জানি না উপনীত আষাঢ়েও বৃষ্টির ফোঁটা দিয়ে
বহুবার ভেজাতে চেয়েও ফিরে গেছো আপন মোহনায়।
অজস্রবার ধূলো জমা রঙিন পাতার উপর এসে বসেও চড়ুই পাখির ডানা ঝাপটে ময়লা সরিয়ে দেখলে না
সে রঙিন পাতার রঙ।
যার ফলে ধূলোর মনে জমে রয়েছে অজস্র প্রশ্ন।
তাই তো সারাজীবনের ইচ্ছেগুলো বন্দী হয়ে রইলো অনিচ্ছার পিঞ্জরে।
পাশাপাশি দু'টি গাছের পাতার মতো
মৃদু বাতাসে দুলে মিলিত হয়ে সূর্য ঢাকার স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেলো।


অনেক ভেবেছিলাম, তুমিই দেবে বাতাস
তাই তো সরে আসি নীরবে।
বোঝনি ভাষার মৌনতা,
অথচ তুমি বলতে, "তোমার পছন্দ নাকি পাহাড়।"