মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ


মাত্রাঃ


নিয়তির ক্ষত
অভাগার যত
জন্মই যার পাপ,
ভাগ্যটা টলে
নিদারুণ ছলে
আজন্ম অভিশাপ।


কপালের চিতা
জ্বেলে গেছে পিতা
ভাবে নাই মাতা কভু,
জংলার ঝোপে
দিয়ে গেছে সঁপে
এ কেমন শিশু প্রভু?


জীবনের বাতি
আঁধারের রাতি
খুঁজে নাহি পায় দিশা,
ঝোপ মাঝে ফেলে
কেন চলে গেলে
এঁকে দিয়ে অমানিশা?


দোষ ছিল কার
কেন অবিচার
মোর সাথে হলো শুধু?
ভাগ্যের দ্বারে
কেন ছারখারে
লেপে দিলে মরু ধূ-ধূ?


ভাবলে না কিছু
শিশুটার পিছু
কি-বা হবে এর পরে?
কুকুরের মুখে
শকুনের সুখে
নাকি যাবে কারো ঘরে?


বস্তির গাঁয়
তুলে নিয়ে যায়
অভাগিনী এক নারী,
তিন কূলে তার
কেউ নেই আর
নেই চাল,চুলা-হাড়ি।


সেই মাতা মোর
যায় ঘুম ঘোর
মৃত্যুর কোলে ঢলে,
রাস্তার ছেলে
ফের ঘর ফেলে
ডুব দেয় অবতলে।


শুধু আজ ভাবি
জীবনের চাবি
কেন এতো রংচটা?
সেই ঝোপ-ঝাড়ে
কেন পরপারে
দিলে নাকো ঘনঘটা?


ওগো দয়াময়
একি অতিশয়
জ্বালা দিলে তুমি মোরে?
জন্মের তরে
কেন অগোচরে
গালি দেয় মুখ ভরে?


এই দাহে হায়
বুক পুড়ে যায়
মোর দোষ কতটুকু?
শান্তির মালা
পুড়ে ঝালাপালা
বুক করে ধুকুধুকু।


তুমি ওগো বিধি
জগতের নিধি
অধমের কেন পর?
কোন দোষে বেলা
করে গেলো খেলা
ভাগ্যের তুলে ঝড়।


কেউ সম্মুখে
সীমাহীন সুখে
জারজের গালি তোলে,
একে কি-গো প্রভু
কোন কালে কভু
মানুষের জাত বলে?