'জানি না কেন যে মনে' শুধু আঁকি ক্ষণেক্ষণে,
কবিতার ছবি বারেবার।
বুঝিয়েছি,কতো তারে সাতে-পাঁচে বারেবারে,
তবু তার শুধু হাহাকার!
বলে মোর, ছোট ছেলে, কাজ-বাজ, সব ফেলে
কেন তুমি এতো লেখো বাবা?
চলো গিয়ে,খেলা করি, খেলা খেলে, চোর ধরি
লিখে তুমি নাহি কিছু পাবা!
বলি তারে, চড়া স্বরে, দাঁত ভেঙে দেবো চড়ে!
মনের খোরাক এটা সোনা,
বড় হলে বুঝে যাবে সঠিক হিসাব পাবে,
কেন যে এমন জাল বোনা।
বলে খোকা,"ছোট আমি?" তাই কথা নয় দামী?
কেন গো শাসায় তবে মাতা?
মা-তো নয় ছোট অতি, সে-তো বড়ো গুণবতী,
কেন সে বলেন তবে যা-তা?
খুব গুণবতী মা'যে, সে কথা তো রোজই বাজে,
তোমার আপন মুখ দিয়ে,
এমন সময় এসে, মেয়ে মোর বলে হেসে,
লেখো কিছু সমাজকে নিয়ে।
সমাজের সারা-গায়ে, পঁচা-পঁচা বহু ঘায়ে ,
ছেয়ে গেছে লেখো এটা তুমি,
তোমার লেখার সুরে ক্ষত যাক বহু দূরে,
পেতে চাই অনাহত ভূমি।
আরো লেখো কড়া করে পাপিদের চুল ধরে
সোনার স্বদেশ চাই মোরা,
তোমার লেখায় যদি জালিমের নড়ে গদি
তবে লেখা নয় বোবা-খোড়া!
তাছাড়া,যতই লেখো, নিছক খোয়াব দেখো,
লাভ নাই চারি-আনা তাতে!
এসব, নিছক লেখা, মিছে-মিছি, আশা দেখা,
যাবে না-তো সেটা কোন পাতে!
শিশুর, ফেলতে মল, তাতে দেবে কিছু ফল,
এ ছাড়া তো দেখি না যে কিছু!
যদি ভালো পারো বাবা, ঘোচাও কালের থাবা
তবেই লেখার ধরো পিছু।
তা-না হলে, বাদ দাও, অনাহুত, হাউমাউ
কাজ ছেড়ে অকাজের টান,
কাজে এতো, করে ক্ষতি , মেলে যদি, কিছু গতি
মানা যায় তাতে অপমান।
যদি কিছু, নাহি মেলে, অনাহুত মধু ঢেলে,
লাভ কী তা করে অবচয়?
বলি মাগো, বুঝি সবই, আসলে যে মনে কবি,
থামে না যে তারই বোধোদয়।
পারি কি'বা, না পারি মা, বুকের, জমাট বোমা,
করে যায় অকাতরে পেশ,
এভাবেই করে শুধু লিখে যাবো যতো ধূ-ধূ
হতে চাই এভাবেই শেষ।