একটুকরো সংকীর্ণ বিলে প্রমোদ সাঁতার কাটতে গিয়ে
বারবার মরেছি আমি। জেনেটিক মাকড়সার মতো
তবুও লিপ্সায় শুধু অন্ধকারে হাতিয়েছি সুখ
নখরে দেখেছি চেয়ে শকুনের সুতীক্ষ্ণ দু'চোখ
আহ্লাদী চাঁদখানা তবু সেসময় লাফিয়েছে জোরে
মরার তাগিদে ঠোঁট চিবিয়েছি তীব্র নিশানায়
মুহূর্তেই গলে গেছে সুবিশাল ভৈরবী পাথর
তবুও অশক্ত হয়ে হেসেছি সুপ্ত মৃতের বাড়ি
যেন কঙ্কালের মুখে বসিয়েছি হীরকের দাঁত
বুঝেছি তল্পিতল্পা সীমাহীন পাপে ভরে গেছে
তবু হরিণের বেগে ছুটে গেছে প্রগাঢ় বাসনা
যার ফলে বেঁচে থেকে বারংবার মরেছে এ কায়া
শ্মশানে দেহের থেকে জীবন্ত কঙ্কাল হেঁটে গেছে
উপলব্ধি বাতি জ্বেলে। তাকিয়ে দেখেছে দুই চোখ
সেই তগ্রস্ত রাত্রির তীব্র আঁধার মহল থেকে
দেখেছি এসিডে পোড়া সেই মুখগুলো কতটা বিশ্রী।


নিঃসঙ্গ অসুখী পথে ভোলামনে চক্রাকারে ঘুরে
বহুবার মারণাস্ত্রে এক অপরাধ টেনে গেছে
ওঁচলাকুড়ের থাবায়। যেখানে মুহূর্ত বাস দায়
সেখানে নাশিকা ঢেকে মিটিয়েছি লব্ধকের ক্ষুধা।
(অক্ষরবৃত্ত ছন্দে)