সাঁই গো সাঁই
একি মানা যায়?
আজীবন বধূ মোরে
দিয়ে যাবে ঘাই!
নিজ ঘরে বসে আমি,
করি শুধু চামচামি!
এ ব্যথা বলি কারে?
সাথী কোথা পাই?
ভেবে ভেবে অবশেষে
নয়নের জলে ভেসে
বুকে জমা ভালোবাসা,
ফেলি উগরাই
এ জীবন তারি শোকে
হয়ে গেলো ছাই।


এতদিন বেসে-ভালো
তবু কেন এলোমেলো?
ঘোলা জলে শুধু সাঁতরাই!
খেয়ে জল চোখ বুঁজে
মন চলে ঠাঁই খুঁজে
এ কেমন ভালোবাসা?
ভেবে চমকায়!
খুঁজে খুঁজে রাজবাড়ী
রাজসভায় দেই পাড়ি
মহারাজ গনপতির
দেখা পেতে চাই,
মহারাজ নামধারী
নেই তার কোন জুড়ি
তার কাছে কেউ কভু
পায় না যে লাই।


বলি তার কানে কানে
সংকট অবসানে,
খুলে বলি সব কথা-
হয়ে নিরুপায়!
দিন কিছু বুদ্ধি
হই যাতে শুদ্ধি
বউয়ের কষাঘাত,
সয় না তো গায়!
শুনেছি বহুজনে
আপনার নাম শুনে
গরু-বাঘ এক ঘাটে
জল না-কি খায়?
শুনে রাজা বলে কেঁদে
লেখা আছে জানো বেদে?
জ্ঞান যদি থাকে তবে
চেপে যাও ভাই!


বলো না যথাতথা
রাখো মনে নিরবতা,
কার আছে বুকে পাটা
শুনি আমি তাই?
কে-না করে বউয়ে ভয়?
কার এতো জ্বালা সয়?
দুই কানে শুনে কথা
বেঁচে থাকা যায়?
তাই বলি সব ভুলে
ফিরে যাও নিজ কূলে
এটা যেন নাহি শোনে
মোর রানী রায়!


তুমি ভাই কেটে পরো
যেভাবেই জীবন গড়ো
বউয়ের শাসন ছাড়া
গতি কিছু নাই!
রানী বুঝি এসে যাবে!
তবে তুমি মার খাবে
কেন এসেছো তুমি
এই অবেলায়?
রানী যদি জানে এটা
করবে ঝাটা পেটা,
লজ্জায় পুরুষের
বাঁচা হবে দায়!