শুধু মুখোশের খেলা-
বক-ধার্মিক, নীতি-বৃদ্ধের কীর্তন সারাবেলা,
যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি মুখোশের কিঙ্করী
নিমগ্ন মুখ উদ্ধ করছে নানান মুখোশ পরি।
উপরে তাদের আতর লাগানো ভেতরটা নর্দমা
আতর শুঁকেই বহু নির্বোধ হচ্ছে সেখানে জমা,
মুখে কেউ বলে নারী জাতিদের ঘোচাবে সকল ক্ষত
কিন্তু ভেতরে কুকুরের মতো লালা ঝরে অবিরত।
কেউ মুখে বলে আমি মহাজন আমি সৎ পথে চলি
সারাক্ষণ আমি আমার বদনে সত্য কথাই বলি
অথচ তাদের অন্তর ঘেরা সীমাহীন কালিমায়
দিন-রাত তারা সুযোগ পেলেই মিথ্যার পথে ধায়,
বিধিনিষেধের গন্ডি ছাড়ায় অসীম দুঃসাহসে
দুহাতে চালায় হাতুড়ি শাবল কবরস্থান চষে!
অন্তরে রেখে জঘন্য সাজ দেখায় দেবালয়
তাদের কর্মে উষার রবি বিদ্রোহী সুরে কয়,
"এ কি মুখোশের খেলা!
এসব করেই উষার সূর্য নিবি নাকি সাঁঝবেলা?


কেনো রে এরূপ সাজ?
মানুষ্য হয়ে এসব করতে হচ্ছে না মোটে লাজ?
সময় থাকতে তাড়াতাড়ি তুই কর না মানব ধর্ম
মুখোশের নিচে আর কতোকাল করবি এসব কর্ম?
মনুষ্য রূপে তোদেরকে বিধি জন্ম দিলেন ভবে
বল না সে কথা অন্তর থেকে ভাববি কখন, কবে?
তোরা ধরণীর শরসন্ধানী অসীমের পথচারী
তোদের কর্মে বিধাতার মন করিস কেনো রে ভারী?


নিঃসীম ভবে তিনিই দয়াল দিকদিগন্ত জুড়ে
চেষ্টায় তোরা আসতে পারিস তাঁর অন্তর ঘুরে,
তবু কেনো তোরা মুখোশের তলে করছিস এতো পাপ
বলতে পারিস এসব পাপের হবে কি কখনো মাপ?
শুনিস নি কভু সেই পরোপারে কঠোর বিচার হয়
অবহেলা সুরে বলছিস কিরে! তাতেও পাস না ভয়?
আগুনের মাঝে যমদূত যবে নামাবে কেশর ধরে
হাড়েহাড়ে সব সেই দিন তুই ঠিক বুঝে যাবি ওরে।
মানুষের চোখ ফাঁকি দেয়া যায় এই মুখোশের তলে
কিন্তু বিধাতা অন্তর্যামী তাঁর ফাঁকি কভু চলে?
পাপ পথ থেকে সর,
তাড়াতাড়ি করে মুখোশটা ফেলে ধর্মের পথ ধর।"