যে প্রমত্ত মলিন নেকড়ে
প্লাবিত করছে মাইল মাইল শূন্যতা,
সে নেকড়েটাকে দড়ি দিয়ে বাঁধার
খুব চেষ্টা করেছিলাম সেদিন।
মুহূর্তেই দেখি আমার শুকনো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের
দশ দিকেই হতাশায় ভরা নীল ট্যাটু...
ছেড়ে দাও... ছেড়ে দাও... বলে সেকি চিৎকার
ক্ষণিক পরেই দেখলাম
মাঘের কুয়াশা উপুড় হয়ে শুয়ে আছে।
প্রথমে নর্দমা ভাবলেও একটু পরেই বুঝতে পারি
সেগুলো ছিলো দিগন্ত বিস্তৃত লক্ষ টাকার
অসংখ্য মৃত হাতি।
যেটা কোনোমতেই মেনে নিতে পারিনি...
তবুও চিবুকের ঈশানে ইস্পাতের অলিভ সাজিয়েছি।


মৃতকল্প চিৎকারে বুক তখন পাথরের মতো কেঁদে উঠলো
আর সেদিন থেকে বেশ কিছুদিন নির্বাক কথার চিৎকারে
রোজ নিশিথে জাগিয়ে তুলতাম ফুটপাত।
সে সব নির্বাক কথা এখন নিখুটি মেঘের মতো ভেসে বেড়ায়
তাই তো ফুটপাতকে আর জাগানো হয় না মনের ভুলে
শুধু অবলীলায় জানালার সাথে মালা বদল করি
আর আশ্চর্য হয়ে ভাবি
নেকড়ের তোপে হাতির মৃত্যু!