নাম নয় কর্ম


কোমল দাস


মুরগীরে ডেকে বলে মুরগীর ছানা
আমাদের নাম রাখা আছে নাকি মানা?
মুরগীটা রেগে বলে সেকি কথা বাবা
তুমি দেখি হয়ে গেছো একেবারে হাবা!


গুণীদের নাম হয় মরণের পরে
পরপারে গেলে লোকে গুণীদের স্মরে...
বিধাতার কৃপা বলে বহু গুণ পেয়ে
আমাদের তরী যাই এভাবেই বেয়ে।


তবে কেন নাম নিয়ে এতো খুনসুটি?
মুরগীর ছানা হয়ে আত্মাতে পুঁটি?
বলো দেখি এটা কভু মেনে নেয়া যায়?
এমন স্বভাব সেতো মানুষে মানায়...


আমরা তো নিজগুণে বহু গুণীজন
তবে কেন  মনে আসে এই আলোড়ন?
জ্ঞানীজন নামী হয় মরণের পরে
নাম নিয়ে মানুষেরা কতো কিছু করে!


মানুষের মতো কেন মুরগীরা হবে?
বিনা দামে মানুষেরা ডিম দেয় কবে?
আমরা তো কতো কিছু দিয়ে যাই রোজ...
তবু ওরা নেয় না তো এতটুকু খোঁজ!


ফের যদি এই কথা মনে আর আসে
জেনে রাখো সেই দিন দেবো বনবাসে!
জানো নাকি কতো নামে ডাকে আমাদের?
ভালো করে শুনে নাও বলবো না ফের!


চিকেনের তন্দুরী, চিকেনের রোল
মুখে মুখে আমাদের আরো কতো বোল!
চিকেনের ফ্রাইটা তো বেশ নাম করা
লোকে বলে তাতে নাকি সব সুখ ভরা...


মুরগীরা মরে গেলে কতো নাম পাই...
মরণের আগে দেখো কোন নাম নাই!
মানুষের মতো মোরা বেঈমান নাকি?
উপকারে মুরগীরা দেয় কভু ফাঁকি?


তবে তুমি কেন বাবা পেলে এই ধারা?
মুরগীর মন মাঝে কেন দিলে নাড়া?
নাম নিয়ে মাতামাতি আমাদের নয়!
কর্মের গুণে হয় খাঁটি পরিচয়।


আপন কর্ম যদি নিজে যাও করে,
তবেই থাকবে তুমি এই চরাচরে।