মনে মনে ভাবে কাকা সাধু হয়ে যাবে
আজ থেকে আজীবন নিরামিষ খাবে,
সকল সাধন জেনে ভালো হবে তিনি
আজ থেকে বাদ দেবে সব ছিনিমিনি।


তাই তিনি চলে যান গুরুজির কাছে
গুরুজির বাড়ি এক মন্দির আছে,
সেইখানে বসে তারা পূজা করে রোজ
কী উপায়ে পাপ কাটে করে তার খোঁজ।


একদিন কাকা শোনে গুরুজির কাছে
বলুন না ভগবান কোন দিকে আছে?
গুরুজি বলেন,"যদি সৎ পথে চলো
বদনে সদাই যদি খাঁটি কথা বলো।


নারীর সঙ্গ যদি না করো বরণ
তখনি দয়াল দেবে আপন চরণ।"
সব জেনে কাকা বাবু চলে যান বাড়ি
এরপর থেকে আর দেখে নাই নারী।


মিথ্যা বাক্য কভু বলে নাই আর
অসৎ সড়কে মন ভেড়ান নি তার,
কয়েক বছর পরে আষাঢ়ের দিনে
কলমির শাক তিনি বাড়ি আনে কিনে।


যদিও বা শাক খেয়ে পেট ভরে তার
মন তবু কেঁদে কেঁদে করে হাহাকার,
আরো শাক এনে দাও বলে তার মন
তুমুল জোয়ারে মন তোলে আলোড়ন।


হঠাৎ আসলো মনে বিলটার কথা
ঠিক সেই ক্ষণে তিনি চলে যান তথা,
কলমির বহু শাক বিলটার জলে
সেগুলো আনতে তিনি নেমে যান তলে।


অনেক কলমি নিয়ে বাড়ি আসে ফিরে
এরপর চুলকানি ওঠে ধীরে ধীরে,
বিলের জলের থেকে চুলকানি এসে
কাকার দেহের মাঝে অকাতরে মেশে।


ডাক্তারে গিয়ে বলে চুলকিয়ে মরি
ডাক্তার দিলো তারে রূপা নামে বড়ি,
কাকা বলে এটা বাদে আর কিছু দিন
ডাক্তার দুই ফোঁটা দিলো আফরিন।


কাকা বলে চোখ দুটি জ্বালা পোড়া করে
ডাক্তার নওসিন চোখে দেয় ভরে,
এরপর বের করে ওষুধের থলে
তার মাঝে লেখা আছে চুলকানি হলে।


থলে মাঝে যতগুলো ওষুধের ছটা
একে একে শুনে নিন তার সব কটা,
রূপমা, রূপিন, ওনি, ড্যাকরিন, দিপা
চুলকালে এগুলোতে হবে নাকি কৃপা।


কাকা খুব রেগে গিয়ে ধমকিয়ে বলে
চুলকানি হয় কী গো নারীদের কলে?
নারী নামে আমার তো গুরুজির মানা
ওষুধের নামে আজ হবো রাতকানা?


কে রেখেছে সব নাম নারীদের নামে?
নাম নিয়ে অবিচার হলো কোন দামে?